সোমবারের বস্টন ম্যারাথনে পুরুষ বিভাগে কেনিয়ার ইভান্স চিবেট জয়ী হন। করোনাভাইরাস মহামারি আরম্ভ হওয়ার পর এই প্রথম প্রতিযোগিতাটি প্যাট্রিয়টস ডে-র প্রথাগত সময়ে অনুষ্ঠিত হল।
পুরুষদের প্রতিযোগিতার প্রথম সারিতে শুরুতে ২০ জন থাকলেও, হার্টব্রেক হিল পেরিয়ে আসতে আসতে মাত্র দুইজন টিকে ছিল। প্রায় চার মাইল বাকি থাকতে, তানজানিয়ার গ্যাব্রিয়েল গিয়ে-কে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান চিবেট। অনানুষ্ঠানিক হিসেবে তিনি ২ ঘন্টা, ৬ মিনিট, ৫০ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করেন।
নারী বিভাগে বর্তমান অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন, কেনিয়ার পেরে জেপচিরচির ২:২১:০১ সময়ে বিজয়ী হন। ইথিওপিয়ার আবাদেল ইয়েসহানেহ-র তুলনায় তিনি ৪ সেকেন্ড এগিয়ে ছিলেন। দৌড়ের শেষ মাইলে আটবার একে অপরকে টেক্কা দেন তারা। তবে, শেষ ৩৮৫ গজে গিয়ে, জেপিরচির শেষবারের মত প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যান।
পুরুষদের হুইলচেয়ার প্রতিযোগিতায়, আমেরিকান ড্যানিয়েল রোমানচুক তার ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত চ্যাম্পিয়ন হন। তার সময় ছিল ১:২৬:৫৮। নারীদের হুইলচেয়ার রেসে, সুইজারল্যান্ডের ম্যানুয়েলা শার পরপর দ্বিতীয়বারের মত বস্টনে চ্যাম্পিয়ন হন। এটা তার ক্যারিয়ারের চতুর্থ জয়। তার সময় ছিল ১:৪১:০৮।
ইউক্রেনের ডজন কয়েক দৌড়বিদের সমর্থনে ভক্তরা ইউক্রেনের পতাকা উড়াতে থাকেন। হপকিনটন থেকে কপলি স্কয়ার পর্যন্ত এই ২৬.২ মাইলের দৌড়টা তাদের সফরের সবচেয়ে সহজ অংশ ছিল। ইউক্রেন আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে, রাশিয়া ও বেলারুশের ক্রীড়াবিদদের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছিল।
যে সব ইউক্রেনীয়রা বস্টনে আসতে পারেননি, তাদের অর্থ ফেরত দেওয়ার বা পরবর্তী সময়ের জন্য জমা রাখার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতাটি, প্রথম আনুষ্ঠানিক বিজয়ী নারী হিসেবে নিনা কুসসিক এর জয়লাভের ৫০তম বর্ষপূর্তি। তবে, প্রকৃতপক্ষে ববি গিব প্রথম নারী ছিলেন যিনি দৌড়টি শেষ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে অনানুষ্ঠানিক দৌড়বিদ হিসেবে তিনি প্রথমবার অংশগ্রহণ করেন। এমন অনানুষ্ঠানিক দৌড়বিদদের ব্যানডিট বলা হয়।