অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আলোচিত সিনহা হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ওসি প্রদীপের বিরুদ্ধে দুদকের মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ


ওসি প্রদীপ কুমার দাশ
ওসি প্রদীপ কুমার দাশ

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে পাঁচজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। আগামী ২৭ এপ্রিল পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে মোট ১৭ সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার যারা সাক্ষ্য দিয়েছেন তারা হলেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্তের প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, চন্দিমা শীল, মাহমুদুল হাসান, জুলিয়ান সেতেরা ও বিআরটিএর মোটরযান শাখার পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মাহমুদুল হক জানান, অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশের বিরুদ্ধে গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ও বিআরটিএর এক কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। গৃহায়ণ ও গণপূর্তের চার প্রকৌশলী ওসি প্রদীপের পাঁচলাইশ থানার ষোলশহরের সেমিপাকা ঘরগুলো পরিমাপের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। বিআরটিএর কর্মকর্তা আদালতে দুটি গাড়ির প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। এই পাঁচ জনসহ প্রদীপের বিরুদ্ধে মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ করেছেন আদালত।

গত ২৯ জুন দুপুরে চট্টগ্রামের সিনিয়র স্পেশাল জজ ও মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ কুমার দাশের অবৈধ সম্পদ দেখভালের দায়িত্ব কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে দেন। ২০ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিনের করা আবেদনের প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগর সিনিয়র স্পেশাল দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত প্রদীপ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলাটির এজাহারে উল্লেখিত সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৩ অগাস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম ২–এর তৎকালীন সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেন। মামলায় প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকিকেও অভিযুক্ত করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৯৫ লাখ পাঁচ হাজার ৬৩৫ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG