বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলের ৪১ শতাংশ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয় জানায়, এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৩৮ শতাংশ, নেত্রকোণায় ৭৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২৯, সিলেটে ৩৭, মৌলভীবাজারে ৩৬, হবিগঞ্জে ২৫ ও সুনামগঞ্জে ৪২ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর দেশের হাওরভুক্ত সাতটি জেলা কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোণা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জের হাওরে চার লাখ ৫২ হাজার ১৩৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদ হয়েছে। আর হাওর বাদে, চার লাখ ৯৮ হাজার ১৮০ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। মোট (হাওর ও নন-হাওর মিলে) ৯ লাখ ৫০ হাজার ৩১৮ হেক্টর জমিতে ধান আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ৯ হাজার ৭০০ হেক্টর জমির ধান অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে আক্রান্ত হয়েছে, যা মোট আবাদের শতকরা এক ভাগ।
এবছর অতিবৃষ্টি, পাহাড়ি ঢল ও বৈরি আবহাওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ৮০ শতাংশ পাকলেই হাওরের ধান কাটার নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়া, পাকা ধান দ্রুততার সঙ্গে কাটার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেয় বলে মন্ত্রণালয় জানান। ধান কাটার যন্ত্র কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার -এর পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেয়ার পাশাপাশি অন্যান্য জেলা থেকেও নিয়ে আসা হয়েছে ধানকাটার শ্রমিক।কৃষি মন্ত্রণালয় জানায়, এই মুহূর্তে হাওরে অন্তত এক হাজার ৭০০ কম্বাইন হারভেস্টার ও রিপার ধান কাটছে। যার মধ্যে এক হাজার ১০০ কম্বাইন হারভেস্টার স্থানীয়। আর, ৩৫০টি কম্বাইন হারভেস্টার অন্যান্য জেলা থেকে নিয়ে আসা হয়েছে।