রাশিয়াকে প্রায় ৩০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছিল ফ্রান্স ও জার্মানি। ঐ সরঞ্জামগুলো এখন “সম্ভবত ইউক্রেনে ব্যবহার করা হচ্ছে”। ইউরোপীয় কমিশনের তথ্যের উপর ভিত্তি করে, ব্রিটেনের দ্য টেলিগ্রাফ সংবাদপত্র নিজস্ব এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) জুড়ে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সরঞ্জামগুলো পাঠানো হয়। ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া অঞ্চল দখল করে নেওয়ার পর রাশিয়ার উপর এমন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল।
তবে, আত্মপক্ষ সমর্থনে জার্মানি বলছে যে, সেগুলো “দ্বৈত ব্যবহারযোগ্য” সরঞ্জাম ছিল এবং রাশিয়া বলেছিল যে ঐ সরঞ্জামগুলো সামরিক নয়, বরং বেসামরিক কাজের জন্য প্রয়োজন।
অপরদিকে, পত্রিকাটি জানিয়েছে যে, রাশিয়াতে পাঠানো সরঞ্জামের মধ্যে “বোমা, রকেট, ক্ষেপণাস্ত্র এবং বন্দুক” রয়েছে। ফ্রান্সের প্রতিষ্ঠানগুলোও “রাশিয়ার ১,০০০ এরও বেশি ট্যাংকের জন্য থার্মাল ইমেজিং ক্যামেরা সহ জঙ্গি বিমান ও হেলিকপ্টারের জন্য নেভিগেশন সিস্টেম” সরবরাহ করেছিল বলে, দ্য টেলিগ্রাফ জানায়।
পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে যে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তত ১০টি সদস্য দেশ রাশিয়াকে প্রায় ৩৮ কোটি ডলার মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে ৭৮% শতাংশই ফ্রান্স ও জার্মানির কোম্পানিগুলো সরবরাহ করেছে।
দ্য টেলিগ্রাফের তথ্য অনুযায়ী, রাশিয়াকে অস্ত্র বিক্রি করা অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক এবং ইতালী।
রাশিয়াকে কোন কোন দেশ অস্ত্র বিক্রি করেছে সেটির এক অনুসন্ধানের বিশ্লেষণ করে ইইউ। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে রোমানিয়ার এক সদস্য, ক্রিস্টিয়ান টারহেস, দ্য টেলিগ্রাফকে ইইউ এর বিশ্লেষণটি প্রদান করেন।