আট মাসের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান এবং কাজে যোগদানের সুযোগ দেওয়ার দুই দফা দাবিতে অব্যাহত আন্দোলন কর্মসূচির অংশ হিসেবে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির শ্রমিকেরা সপরিবারে বিক্ষোভ করছেন। বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১১টা থেকে কয়লাখনির প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
করোনার কারণে টানা দুই বছর ছুটির সময় প্রত্যেক শ্রমিককে সাড়ে চার হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা থাকলেও আট মাসের বকেয়া হিসেবে প্রতি শ্রমিকের ৩৬ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে। ফলে অর্থ ও খাদ্য কষ্টের কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনে নেমেছেন শ্রমিকেরা।
তারা জানান, তিনটি চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে খনিতে কর্মরত প্রায় ১১ শত শ্রমিকের মধ্যে চার শ শ্রমিককে খনির ভেতরে রেখে কয়লা তোলার কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্য সাত শতাধিক শ্রমিককে খনিতে প্রবেশে বাধা দেওয়াসহ কাজে নেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন কাজ বঞ্চিত শ্রমিকেরা।
এ ছাড়াও খনি এলাকার ভেতরে ইচ্ছের বিরুদ্ধে খনিতে আটক রাখা চার শ শ্রমিককে খনির বাইরে বের হওয়ার এবং বাড়ি থেকে কাজের সুযোগের দাবিতে অন্য আরেকটি খনি গেটে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা।
খনি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গত মঙ্গলবার কাজ বঞ্চিত শ্রমিকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে পাঁচ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ প্রায় ১২৫ জন বাংলাদেশি কর্মকর্তা এবং ৫০ জন চীনা কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হলে ৩০ জানুয়ারি থেকে কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছিল।
