অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রতিপক্ষকে আঘাত করছে মিয়ানমার জান্তা


মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (এনইউজি) সমর্থনে একটি ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়। ৭ জুলাই, ২০২১। ফাইল ছবি।
মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে বিক্ষোভকারীরা জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের (এনইউজি) সমর্থনে একটি ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়। ৭ জুলাই, ২০২১। ফাইল ছবি।

প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের জান্তা তার প্রতিপক্ষের শক্তিশালী ঘাঁটি যুদ্ধবিধ্বস্ত সাগাইং ও ম্যাগাওয়ে অঞ্চল এবং কায়া ও চিন রাজ্যে মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা এবং টেলিফোন লাইন কেটে দিয়ে বিরোধী শক্তির ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাহিনী ও ত্রাণ সহায়তা গোষ্ঠীগুলো। এই পদক্ষেপের কারণে প্রতিরোধ আন্দোলনে সমর্থনের অভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে এবং ব্যবসা-বানিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

যোগাযোগের এমন বিচ্ছিন্নকরণকে বৃহৎ কোনো সংঘর্ষের পূর্বাভাস বলে মনে হচ্ছে।

সাগাইংয়ের ইয়ামবিন শহরতলীর পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের একজন সদস্য জানিয়েছেন, “ ইন্টারনেট এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরে জান্তা নির্বিচারে ভারী অভিযান চালায়, বেসামরিক গ্রামগুলোতে বোমা বর্ষণ করে এবং ঐ অঞ্চলের সক্রিয় প্রতিরক্ষা বাহিনীকে তাড়াতে গুলি ছোড়ে এবং ভারি কামান ব্যবহার করে।”

২৪ মার্চ জান্তার মুখপাত্র জেনারেল জাও মিন তুন মিয়ানমারের রাজধানী নাইপিদোতে সংবাদদাতাদের বলেছিলেন, সরকারের মিত্র মিলিশিয়াদের সহায়তায় সামরিক বাহিনী সাগাইং-এ প্রতিরোধ বিরোধী কার্যক্রম জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে।

ইন্টারনেট অবরোধ ছাড়াও ভারি সামরিক অভিযান এবং বিমান হামলার আগে টেলিফোন লাইনও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এমন ঘটনার পর সশস্ত্র দল এবং তাদের মেডিকেল টিম যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়। একবার ইন্টারনেট ও ফোন পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেলে সেগুলো আর চালু করা হয় না।

ফ্রিডম হাউজের অ্যানুয়াল ফ্রিডম অন দ্য নেট রিপোর্ট-২০২১ সংস্করণে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে মিয়ানমারে ইন্টারনেট স্বাধীনতার স্কোর ১৪ পয়েন্ট কমেছে যা চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।

[ভয়েস অফ আমেরিকার বর্মী বিভাগ এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছে]

XS
SM
MD
LG