পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং আরও ১৫০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ম অবমাননার আইনের আওতায় মামলা দায়ের হয়েছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা রবিবার নিশ্চিত করেছেন। ধর্মকে “অস্ত্র হিসেবে” ব্যবহার করে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের হেনস্তা করার জন্য এমন পদক্ষেপের ফলে দেশটির সরকার নিন্দার সম্মুখীন হয়েছে।
সৌদি আরবে গত সপ্তাহে এক আনুষ্ঠানিক সফরের সময়ে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও তার সফরসঙ্গীদের লক্ষ্য করে কয়েকজন পাকিস্তানি স্লোগান দেন। সেই ঘটনা থেকেই ধর্ম অবমাননার বিতর্কিত এই অভিযোগের উৎপত্তি হয়।
স্লোগান দেওয়া ঐ ব্যক্তিরা খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একাধিক ভিডিওতে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার শরীফ ও তার সফরকারী দলের সদস্যরা মদীনায় মহানবী মোহাম্মদ (সা.) এর নির্মিত মসজিদ সফরকালে মানুষজন “বিশ্বাসঘাতক” এবং “চোর” বলে স্লোগান দিতে থাকে।
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কয়েকজন পাকিস্তানিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে, শুক্রবার সৌদি কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে।
পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, রানা সানাউল্লাহ রবিবার এক টুইট বার্তায়, পুলিশী অভিযোগে খানের বিরুদ্ধে করা ধর্ম অবমাননার অভিযোগটির পক্ষে সাফাই দেন। সেখানে তিনি সৌদি আরবের ঐ ঘটনার পেছনে থাকা ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করার অঙ্গীকার করেন। স্থানীয় এক টেলিভিশন চ্যানেলকে ঐ মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না এবং আইন তার নিজস্ব পথে চলবে।”
সানাউল্লাহ আরও বলেন যে, ঘটনার সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী ও তার সহযোগীদের গ্রেফতারও করা হতে পারে।
খান ও তার সহযোগীরা অভিযোগগুলোকে “হাস্যকর” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। পাকিস্তানে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও জ্বালানী সংকটের মধ্যে নতুন সরকারের উপর জনসাধারণের চাপ বাড়তে থাকার ফলাফল হিসেবে এটিকে ব্যাখ্যা করেছেন তারা।