অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। (ছবি: ইউএনবি)
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক। (ছবি: ইউএনবি)

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আলোচিত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সাত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

রবিবার (৮ মে) নির্ধারিত দিনে শুনানিতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালত।

তারা হলেন-ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজ, সহ-সভাপতি সৈয়দ জুয়েম, শরিফুল ইসলাম বুলবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আশিকুজ্জামান রূপক এবং কর্মী সজল চন্দ্র ভৌমিক।

বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান আফজাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অন্যদিকে স্বেচ্ছায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে জামিন না মঞ্জুর করে চারজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

তারা হলেন- ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল আসাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির আহমেদ তালুকদার, মোস্তাক আহমদ মিয়াজী এবং কর্মী নয়ন চৌধুরী।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক জহির হোসাইন, সহ সভাপতি এস কে হাসিবুর রহমান, নূরে আলম এবং কর্মী জুনায়েদ আহমদ ও মো. জেসমুল হাসান আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকেও কারাগারে পাঠান।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২০ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ ও সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের অনুসারীদের সঙ্গে সহ সভাপতি অঞ্জন রায় ও ছাত্রলীগ নেতা উত্তম কুমার দাসের অনুসারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী সুমন চন্দ্র দাস গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।

এ ঘটনায় নিহত সুমনের মা প্রতিভা দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১২০ জনের বিরুদ্ধে নগরীর জালালাবাদ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার ছয় বছর পর ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ছাত্রলীগের শাবিপ্রবি শাখার তৎকালীন সভাপতি সঞ্জীবন চক্রবর্তী পার্থ, সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা। পরবর্তীতে গত বছরের জানুয়ারিতে এ চার্জশিট আমলে নেন আদালত।

XS
SM
MD
LG