অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

উচ্চমূল্যের সরকারি ঋণ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করতে পারে—সিপিডি


বাংলাদেশের বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) এক সমীক্ষায় বলছে, যদিও বাংলাদেশ সরকারি ঋণের ক্ষেত্রে একটি উপযুক্ত অবস্থানে রয়েছে। তারপরও অ-উৎপাদনশীল খাতে উচ্চমূল্যের বৈদেশিক ঋণের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে এটি আগামী ২৫ বছরে ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির কারণ হতে পারে।

সমীক্ষা অনুসারে, সাম্প্রতিক অতীতে বাহ্যিক উৎস থেকে সরকারি ও বেসরকারি উভয় ক্ষেত্রের ঋণ বেড়েছে, যা বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে এবং বাণিজ্যের ভারসাম্যহীনতা বৃদ্ধি করবে।

সোমবার (৯ মে) ভার্চ্যুয়ালি আয়োজিত “ডিকনস্ট্রাকটিং পাবলিক ডেট অব বাংলাদেশ: ট্রেন্ডস, স্ট্যাটাস অ্যান্ড আউটলুক” শীর্ষক অনুষ্ঠানে এই সমীক্ষা উপস্থাপন করা হয়।

সিপিডির বিশিষ্ট ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশের ঋণের সার্বিক পরিস্থিতি উপস্থাপন করে বলেন, “মোট জাতীয় ঋণ মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) চেয়ে দ্রুত হারে বাড়ছে। … ঋণের টাকা অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় করার ব্যাপারে সরকার এখন থেকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা না নিলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি চাপের মুখে পড়বে”।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য আরও বলেন, “যদি জাতীয় ঋণের বর্তমান প্রবণতা অব্যাহত থাকে তাহলে অর্থনীতির বাহ্যিক ভারসাম্যের দুর্বলতা, অর্থ প্রদানের ভারসাম্যের অবনতি, রপ্তানি রাজস্ব, রেমিট্যান্স আয়, এফডিআই, বিদেশে সম্পদের আয়সহ বাহ্যিক আর্থিক প্রবাহে ঘাটতি দেখা যাবে। ফলস্বরূপ, ঋণ খেলাপি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হ্রাস, উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ হ্রাস, বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন, ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের মতো পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে”।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) তথ্যমতে, বাংলাদেশের মোট সরকারি ঋণ (জিডিপির শতকরা হিসাবে) ৩৪ দশমিক ৭ শতাংশ, যা ২০ অর্থবছরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল।

XS
SM
MD
LG