অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে


রায়হান আহমদ
রায়হান আহমদ

সিলেটের বহুল আলোচিত রায়হান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ মঙ্গলবার (১০ মে) শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। এই মামলার অভিযোগের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন, আসামি আদালতে হাজির করতে দেরি করা ও কোর্ট রেফারেন্সের কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ একদিন পিছিয়েছে। বিচারক আব্দুর রহিম বুধবার (১১ মে) পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন।

এদিকে মঙ্গলবার সকালে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সাবেক ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াসহ অভিযুক্ত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতে হাজির করা হয়।

এ বিষয়ে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) নওশাদ আহমদ চৌধুরী জানান, বিচারক আব্দুর রহিম মামলার বাদী নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নীকে এজলাসে ওঠানোর পর অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সময় প্রার্থনা করেন। পরে রিট পিটিশন দাখিলের কপি আদালতে জমা দিলে ও অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করতে দেরি করায় এবং একজন আইনজীবী মারা যাওয়ায় কোর্ট রেফারেন্সের কারণে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ আগামীকাল বুধবার নির্ধারণ করেন।

এ মামলায় দ্রুত বিচারকার্য সম্পন্ন হবে এবং অভিযুক্তদের সর্বোচ্চ শাস্তির আশা করছেন তিনি।

২০২১ সালে ৫ মে আলোচিত এ মামলায় পাঁচ পুলিশসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। গত ১৮ এপ্রিল শুনানি শেষে প্রধান অভিযুক্ত বরখাস্ত হওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ ছয় জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। অভিযুক্তদের মধ্যে পুলিশের পাঁচ সদস্য জেল হাজতে থাকলেও কথিত এক সাংবাদিক পলাতক রয়েছেন।

অভিযুক্তরা হলেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির তৎকালীন এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়া, এসআই হাসান উদ্দিন, এএসআই আশেক এলাহী, কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশিদ এবং ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ গায়েবকারী কথিত সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর রাতে সিলেট নগরীর আখালিয়া এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে কোতোয়ালি থানাধীন বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরদিন ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে মারা যান রায়হান। এর পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।

XS
SM
MD
LG