বাংলাদেশে কুষ্টিয়া জেলায় প্রায় ১৩ বছর আগের বহুল আলোচিত ট্রিপল মার্ডার মামলায় ৩ জন অভিযুক্তকে আমৃত্যু এবং ৮ জন অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ১১ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১০ মে) দুপুরে অভিযুক্তদের অনুপস্থিতিতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন।
মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পুতলাডাঙ্গা গ্রামের আসকর আলীর ছেলে ফারুক সদ্দার, একই উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের ইছাহাক আলী মাস্টারের ছেলে কফিল উদ্দিন কালু ও জেলা শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকার কালো মজনুর ছেলে রোহান।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মৃত খোরশেদ মন্ডলের ছেলে ফারুক মন্ডল, ভায়না গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে লিয়াকত আলী, কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার করিমপুর গ্রামের জলিল শেখের ছেলে লিয়াকত শেখ, এছেম শেখের ছেলে মনোয়ার শেখ, আনছার শেখের ছেলে আকাম উদ্দিন, ওয়াহেদ আলী জোয়াদ্দারের ছেলে জমির উদ্দিন, মাঝপাড়া গ্রামের ওম্মাদ মন্ডলের ছেলে খাকচার মন্ডল এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) থানার খোর্দ্দবাখইল গ্রামের আবু বক্করের ছেলে নুরাল ওরফে নুরুল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী জানান, ২০০৯ সালে ১০ অগাস্ট সকালে কুষ্টিয়া শহরের ডিসি কোট সংলগ্ন গণপূর্ত অফিসের দেয়ালের পাশে একটি চটের ব্যাগের মধ্য থেকে স্থানীয় শামসুজ্জোহা, কাইয়ুম ও আইয়ুবের বিচ্ছিন্ন মাথা পাওয়া যায়। পরদিন সদর উপজেলার সোনাডাঙ্গা গ্রামের মাঠের মধ্য থেকে তাদের দেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহত কাইয়ুমের ভাই আব্দুল হাই বাদী হয়ে ১০ অগাস্ট কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় অজ্ঞাতদের অভিযুক্ত করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২২ জনকে অভিযুক্ত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেন দাখিল করেন।
তিনি জানান, এলজিইডির ১৮ কোটি টাকার কাজ বাগিয়ে নিতে আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য তাদের হত্যা করা হয়। নিহত তিন ব্যক্তি ও অভিযুক্তরা সবাই জাসদ ও গণবাহিনী, এই দুই দলের সদস্য।
