বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বিনিয়োগকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানী ঢাকার একটি হোটেলে সফররত মার্কিন বিজনেস কাউন্সিলের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে ইউএস-বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের (বিল্ডিং অন ফিফটি ইয়ারস অব ফ্রেন্ডশিপ) অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে যুক্ত হয়ে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শেভরন কর্পোরেশনের বিজনেস ডেভেলপমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে আর প্রায়র যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
নমরুল হামিদ বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতার আদান-প্রদান দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ককে আরও জোরদার করবে”।
নসরুল হামিদ বলেন, “বর্তমান সংকট এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানির অব্যাহত মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় বাংলাদেশ নিজস্ব জ্বালানি সম্পদ অনুসন্ধান ও উৎপাদনের ওপর জোর দিচ্ছে”।
তিনি বৃহৎ কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি মধ্যপর্যায়ের মার্কিন কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশের তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান, ক্লিন এনার্জি এবং জ্বালানির নতুন উৎস অনুসন্ধানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তিগত সহায়তার আহ্বান জানিয়ে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের তিনি বলেন, “অফশোর, অনশোর অনুসন্ধান, গভীর সাগরে খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের পাশাপাশি প্রযুক্তি সহায়তা বিনিময়ে দুই দেশই লাভবান হবে”।
প্রতিমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৬ সম্মেলনে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে নবায়নযোগ্য শক্তির অংশ ৪০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। সুতরাং, সেই স্বপ্ন পূরণে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগ দেশের জ্বালানি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
বৈঠকে অংশ নেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেন, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, ইউএস জেনারেল ইলেকট্রিকের দক্ষিণ এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী মাহেশ পলাশিকর, এক্সন মোবিলের মার্কেট ডেভেলপমেন্টের প্রধান শাহরুখ খান মির্জা এবং শেভরন বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার এরিক ওয়ালকার।
