অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

টানা বর্ষণে বিপদসীমায় সিলেট-সুনামগঞ্জে নদ-নদীর পানি


ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে আসা পানির কারণে, বাংলাদেশের সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার নদ-নদীর পানি বিপদসীমায় পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এছাড়া আগামী ২৪ ঘন্টায় (১৪ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত) বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি নদীসহ সীমান্তবর্তী নদনদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা।

এদিকে, উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও চলমান বৃষ্টিপাতে সিলেটের প্রায় সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলা দিয়ে ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবার ভোর ৬টায় ওই অঞ্চলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার শূণ্য দশমিক ৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট এলাকায় বিপদসীমার ১২.৭৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সেখানে শুক্রবার সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৩৪ সেন্টিমিটার। সিলেটে সুরমার পানি বিপদসীমার ১০.৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। সকাল ৬টায় ছিল ৯.৫২ সেন্টিমিটার।কুশিয়ারা নদীর পানি শেওলা এলাকায় রয়েছে বিপদসীমার ১৩.০৫ সেন্টিমিটার উপরে। সকাল ৬টায় ছিল ১০.৮৬ সেন্টিমিটার। সারি নদী গোয়াইঘাট এলাকার বিপদসীমার ১২.৩৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সকাল ৬টায় ছিল ১১.৯৫ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জে ‍সুরমার পানি বিপদসীমার ৭.৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছে। সকাল ৬টায় ছিল ৬.৩২ সেন্টিমিটার।

এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৬১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, “আগামী ১৮ মে পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। দিনের চেয়ে রাতে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।”

XS
SM
MD
LG