অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আফগানিস্তানে প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করেছে তালিবান


ফাইল: আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলবি আব্দুল সালাম হানাফি কাবুলে তালিবান পতাকা উত্তোলনের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছেন। ৩১ মার্চ ২০২২।
ফাইল: আফগানিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী মৌলবি আব্দুল সালাম হানাফি কাবুলে তালিবান পতাকা উত্তোলনের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিচ্ছেন। ৩১ মার্চ ২০২২।

আফগানিস্তানের তালিবান সরকার শনিবার (১৪ মে) তাদের প্রথম বার্ষিক বাজেট ঘোষণা করেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বাজেট পুরোপুরি অভ্যন্তরীণ রাজস্বের মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে এবং এতে প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি (৪৪ বিলিয়ন) আফগানি মুদ্রা বা ৫০০ মিলিয়ন ডলারের রাজস্ব ঘাটতি থাকবে।

উপপ্রধানমন্ত্রী আব্দুল সালাম হানাফি কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তাদের অন্তর্বর্তী সরকার ২৩ হাজার ১৪০ কোটি (২৩১.৪ বিলিয়ন) আফগানি মুদ্রা (২.৬ বিলিয়ন ডলার) ব্যয়ের পূর্বাভাস দিয়েছে এবং চলতি অর্থ বছরে ১৮ হাজার ৬৭০ কোটি (১৮৬.৭ বিলিয়ন) আফগানি মুদ্রার অভ্যন্তরীণ রাজস্ব আদায়ের কথা জানিয়েছে। তবে কীভাবে প্রস্তাবিত ব্যয় এবং প্রত্যাশিত রাজস্বের মধ্যকার ঘাটতি পূরণ করা হবে সে বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা দেননি তিনি।

হানাফি বলেন, “কোনো প্রকার বিদেশি সহযোগিতা ছাড়াই শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন, প্রতিরক্ষা বা অন্য খাতসহ সম্পূর্ণ বাজেটে আমাদের জাতীয় রাজস্ব উৎস থেকে অর্থায়ন করা হবে”।

তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন প্রকল্পে ২ হাজার ৭৯০ কোটি (২৭.৯ বিলিয়ন) আফগান মুদ্রা (০.৩৩ বিলিয়ন ডলার) ব্যয় করা হবে।

অর্থ মন্ত্রকের একজন মুখপাত্র ব্যাখ্যা করে বলেন, এই রাজস্ব শুল্ক, মন্ত্রক এবং খনি সম্পর্কিত বিভাগ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। বাজেট ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে।

ইতিপূর্বে বিদ্রোহী তালিবান ২০২১ সালের অগাস্টের মাঝামাঝি সময়ে তৎকালীন পশ্চিমা-সমর্থিত আফগান সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে।

এর আগে কাবুলে অধিকাংশ সরকার বিদেশি আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল। তবে তালিবান ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমা দাতা দেশসহ সহায়তা সংস্থাগুলো অবিলম্বে আফগানিস্তানে সহযোগিতা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।

অন্তর্ভূক্তিমূলক রাজনৈতিক প্রক্রিয়া না থাকা, নারীর অধিকার খর্ব করা এবং সন্ত্রাস-বিষয়ক উদ্বেগের কারণে বৈশ্বিক সম্প্রদায় এখনো তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি।

[এই প্রতিবেদনের কিছু তথ্য রয়টার্স নেওয়া হয়েছে]

XS
SM
MD
LG