যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন রবিবার ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্যমিত্র কুলেবার সাথে বার্লিনে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তারা ইউক্রেনের রফতানিকৃত খাদ্য আফ্রিকা ও এশিয়ার ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানো নিশ্চিত করতে একসাথে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়ে আলাপ করেন।
ঐ দুই মন্ত্রী নেটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে অংশগ্রহণ করছেন। ইউক্রেনের সরেজমিন পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা, মানবিক সহায়তা ও রাশিয়ার আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষায় প্রয়োজনীয় অস্ত্র সরবরাহ প্রচেষ্টা সমন্বয় করতে বৈঠকটি আহ্বান করা হয়েছে।
২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার সর্বাত্মক আক্রমণের ফলে খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় দুর্ভিক্ষের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্রুপ অফ সেভেন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা শনিবার বার্লিনে বৈঠক করেন। বৈঠকে তারা ইউক্রেনের কৃষ্ণ সাগরের বন্দরগুলো থেকে রাশিয়াকে অবরোধ তুলে নিতে আহ্বান জানান, যাতে করে অতি প্রয়োজনীয় ইউক্রেনীয় শস্য, সার ও অন্যান্য কৃষি পণ্যের রফতানি অবাধে করা যায়।
অবিলম্বে নেটোতে যোগদানের বিষয়ে ফিনল্যান্ডের নেতাদের সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা করার পরিকল্পনা রয়েছে ব্লিংকেন এবং অন্যান্য নেটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের। যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে যে, তারা ফিনল্যান্ড এবং সুইডেন উভয়েরই নেটোতে যোগদানের আবেদনগুলো সমর্থন করবে।
অপরদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শনিবার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট সাউলি নিনিস্তোর পক্ষ থেকে করা এক ফোনালাপের সময়ে তাকে সতর্ক করেছেন। নিনিস্তোকে পুতিন বলেছেন যে, ফিনল্যান্ডের পক্ষ থেকে নেটোতে যোগদানের কোন প্রচেষ্টা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণকে নিজেদের দেশের নিরাপত্তার জন্য একটি হুমকি হিসেবে উল্লেখ করেছেন ফিনল্যান্ডের নেতারা, কারণ ফিনল্যান্ড এবং রাশিয়ার মধ্যে ১,৩৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানও ফিনল্যান্ড এবং সুইডেনের নেটোতে যোগদানের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, তুরস্কের অবস্থান পরিষ্কার করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।