অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

কয়েকজন ইরানি চলচ্চিত্র কর্মী গ্রেপ্তার, বাড়িতে বাড়িতে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযান


জার্মানির ওপেন-এয়ার সিনেমা মিউজিয়াম দ্বীপে ৭১তম বার্লিন সামার ফেস্টিভ্যালে আগত দর্শকরা ইরানের চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রসুলফের একটি ছবি বড় পর্দায় দেখছেন। (ফাইল)
জার্মানির ওপেন-এয়ার সিনেমা মিউজিয়াম দ্বীপে ৭১তম বার্লিন সামার ফেস্টিভ্যালে আগত দর্শকরা ইরানের চলচ্চিত্র নির্মাতা মোহাম্মদ রসুলফের একটি ছবি বড় পর্দায় দেখছেন। (ফাইল)

একজন বিখ্যাত ইরানি চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেছেন, সাম্প্রতিক দিনগুলিতে বেশ কয়েকজন চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং অন্যান্য শিল্পের পেশাদারদের অফিস ও বাড়িতে অভিযান চালানো হয়েছে এবং তাদের কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

চলচ্চিত্র শিল্পের সঙ্গে জড়িত কয়েক ডজন পেশাদারের স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শনিবার গভীর রাতে মোহাম্মদ রসুলফ ওই মন্তব্য করেন।

বিবৃতিতে আরও দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনী অভিযানের সময় চলচ্চিত্র নির্মাণের সরঞ্জামও বাজেয়াপ্ত করেছে। বিবৃতিতে এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা এবং এগুলোকে "অবৈধ" বলে অভিহিত করা হয়েছে।

একটি পৃথক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, রসুলফ আটককৃত দুই চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ফিরোজেহ খোসরাভানি এবং মিনা কেশভারজ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।

অভিযানের বিষয়ে ইরানি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য কিংবা কোনো অতিরিক্ত বিবরণ পাওয়া যায়নি।

রসুলফ তার চলচ্চিত্র "দেয়ার ইজ নো ইভিল" এর জন্য ২০২০ সালে বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসবের শীর্ষ পুরস্কার জিতেছেন। চলচ্চিত্রটি ইসলামিক প্রজাতন্ত্রে মৃত্যুদণ্ড এবং নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে ব্যক্তি স্বাধীনতার থিমগুলির সাথে আলগাভাবে সংযুক্ত চারটি গল্প নিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

পুরস্কার পাওয়ার পরপরই রসুলফকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়, কিন্তু তার আইনজীবী সাজার বিরুদ্ধে আপিল করেন। তার চলচ্চিত্র নির্মাণ ও বিদেশ ভ্রমণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

নিরাপত্তা লঙ্ঘনের কথিত অভিযোগে ইরান মাঝে মাঝে সাংস্কৃতিক কর্মীদের গ্রেপ্তার করে।

ইরানের রক্ষণশীল কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরেই অনেক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডকে ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের একটি "সূক্ষ যুদ্ধের" অংশ হিসেবে এবং দেশটির ইসলামিক বিশ্বাসকে কলঙ্কিত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখে আসছে।

XS
SM
MD
LG