অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় আফগান সরকারি বাহিনীর পতনের জন্য দ্রুত সেনা প্রত্যাহারকে দায়ী করা হয়েছে


আফগানিস্তানের কাবুলে একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের সময় লোকজন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি সি-১৭ পরিবহন বিমানের পাশাপাশি ছুটছে। ১৬ আগস্ট, ২০২১। (ছবি-এপি)
আফগানিস্তানের কাবুলে একটি বিমানবন্দরের রানওয়ে থেকে উড্ডয়নের সময় লোকজন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর একটি সি-১৭ পরিবহন বিমানের পাশাপাশি ছুটছে। ১৬ আগস্ট, ২০২১। (ছবি-এপি)

যুক্তরাষ্ট্রের একটি সরকারি সংস্থার প্রতিবেদনে ২০২১ সালের আগস্টে আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর আকস্মিক পতনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর দ্রুত প্রত্যাহার সংক্রান্ত ওয়াশিংটনের সিদ্ধান্তকে দায়ী করা হয়েছে। এ প্রত্যাহারের ফলে তালিবান আফগানিস্তান দখল করে নেয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “(দ্য) এসআইজিএআর বলছে যে ২০২১ সালের আগস্টে আফগান জাতীয় প্রতিরক্ষা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পতনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণটি ছিল…… যখন আফগান বাহিনী নিজেদের টিকিয়ে রাখতে পারছিল না তখন আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা এবং ঠিকাদারদের প্রত্যাহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দুই প্রেসিডেন্টের সিদ্ধান্ত।“

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং তার পূর্বসুরি ডনাল্ড ট্রাম্প আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্র এবং মিত্রবাহিনীর সেনা প্রত্যাহার করতে ও যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘতম যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে তালিবানের সাথে একটি চুক্তিতে পৌঁছান তারা শুধুমাত্র সেনা প্রস্থানের জন্য সময়সীমাই ঘোষণা করেননি, বরং যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী আফগান সামরিক বাহিনীর জন্য যুদ্ধক্ষেত্রে সহায়তাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করে। যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রাক্তন আফগান সরকারি কর্মকর্তা এবং সামরিক নেতাদের সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে এসআইজিএআর এ মূল্যায়ন করে।

আফগান সামরিক কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, চুক্তির মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব এতটাই বেশি ছিল যে, গড়পড়তা সৈন্যরা তারা বিজয়ী নয় জেনে প্রস্তাবগুলো গ্রহণ করার জন্য “বাঁচার জন্য মরিয়া” হয়ে পড়ে। সিগারের ফলাফল অনুসারে, এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র-আফগানিস্তান সম্পর্কের ক্ষেত্রে প্রচণ্ড অনিশ্চয়তার সূচনা করেছে।

XS
SM
MD
LG