জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের প্রাথমিক অংশে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি মূলত চীনের উত্থান এবং ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের মত বিষয়গুলোতেই বেশি গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তবে চলতি সপ্তাহে বাইডেন পররাষ্ট্রনীতির আরেকটি বিরক্তিকর বিষয়ের সম্মুখীন হবেন। সেটি হল, পরমাণু অস্ত্র সম্বলিত উত্তর কোরিয়া।
শুক্রবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেন তার প্রথম এশিয়া সফরের জন্য রওনা হবেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, বাইডেনের সফরকে উদ্দেশ করে উত্তর কোরিয়া বড় মাপের অস্ত্র পরীক্ষা চালাতে পারে।
বাইডেনের এশিয়া সফরের আশপাশের দিনগুলোতে উত্তর কোরিয়ার দূর-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ বা পারমাণবিক পরীক্ষা বা উভয়ই চালানোর “বাস্তব সম্ভাবনা” রয়েছে বলে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্য নির্দেশ করছে। হোয়াইট হাউজের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জেক সালিভান বুধবার এমন তথ্য জানিয়েছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, বাইডেনের পাঁচদিনব্যাপী এই সফরে মূল আলোচনার বিষয়বস্তু হবে চীন। যেসব মিত্র এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘমেয়াদী অঙ্গীকারের বিষয়ে সন্দিহান, এই সফরে তাদেরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করবেন বাইডেন।
সফরকালীন বাইডেন ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক চালু করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এটি দীর্ঘ প্রতিক্ষিত এক অর্থনৈতিক উদ্যোগ, যার ফলে এশিয়াতে যুক্তরাষ্ট্রের অন্তর্ভুক্তি বৃদ্ধি পাবে।
টোকিওতে কোয়াড এর এক বৈঠকে যোগ দিবেন বাইডেন। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত, এবং অস্ট্রেলিয়া – এই চার দেশের সমন্বয়ে গঠিত এক দল হল কোয়াড। চীনের উত্থান সীমাবদ্ধ রাখার মধ্যে বিশেষ স্বার্থ জড়িয়ে আছে এই গণতান্ত্রিক দেশগুলোর।
এদিকে, সোল-এ দক্ষিণ কোরিয়ার নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক-ইয়োল এর সাথে সাক্ষাৎ করবেন বাইডেন। চীনের বিরুদ্ধে আরও জোরালো অবস্থানের অঙ্গীকার করেছেন সুক-ইয়োল। অন্যান্য বৈশ্বিক বিষয়ের মোকাবেলায় ওয়াশিংটনের সাথে সহযোগিতা বৃদ্ধিরও ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন তিনি।