যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বৃহস্পতিবার চীন সম্পর্কিত নীতি বিষয়ে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেবেন। সেখানে আগামী দশকে প্রতিযোগিতায় চীনের থেকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে বাইডেন প্রশাসনের কৌশল তুলে ধরার কথা রয়েছে তার। গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ এবং সরবরাহ ব্যবস্থার নিরাপত্তা জোরদার করতে মিত্রদের সাথে কাজ করার মাধ্যমে সেটি করা হবে। একই সাথে অনাকাঙ্খিত সংকট প্রতিরোধেরও চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মতে, প্রশাসন চীনের সাথে “সংযোগ বিচ্ছিন্ন” করতে চায় না। “সংযোগ বিচ্ছিন্ন” বলতে বোঝায় যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে ক্রমাগতভাবে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের আমলে এই কথাটি প্রায়ই উচ্চারিত হত।
ব্লিংকেনের চীন সম্পর্কিত ভাষণের বিষয়ে এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “মন্ত্রী এই বিষয় পরিষ্কার করবেন যে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বা বিশ্ব অর্থনীতি থেকে চীনকে বিচ্ছিন্ন করতে চায় না।”
আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, “আমরা অবশ্যই যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে স্বাগত জানাই, যতক্ষণ পর্যন্ত কিনা সেগুলো স্বচ্ছ, ন্যায্য এবং নিরাপদ থাকবে।”
জর্জ ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্লিংকেনের এই ভাষণে “বিনিয়োগ, সমন্বয় এবং প্রতিযোগিতা”-র নীতিতে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ব্লুমবার্গ ইকোনমিক্স-এর করা নতুন এক স্বতন্ত্র বিশ্লেষণে দেখা যায় যে ১৯৭৬ সালের পর এই প্রথমবারের মত এই বছর যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির বার্ষিক গড় প্রবৃদ্ধির হার চীনের অর্থনীতির থেকে বেশি হবে।