অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

গুম হওয়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে বাংলাদেশের দেয়া তথ্য অপর্যাপ্ত বলছে জাতিসংঘ


জাতিসংঘের তরফে বাংলাদেশের ৬৬ টি গুমের ঘটনার তথ্য প্রকাশ করা হয়েছিল আগেই। ওই তালিকায় নাম আসা গুম হওয়া ব্যক্তিদের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিল জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল। সংস্থাটির আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সরকার যে তথ্য পাঠিয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে মনে করছে এইচআরসি। গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সরকার ৬৬টি গুমের ঘটনার মামলার বিষয়ে তথ্য প্রেরণ করে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনে।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গুম ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে জেনেভায় সিরিজ শুনানি শেষে তৈরি করা 'এডভান্স এডিটেড ভার্সন' শীর্ষক ৩৬ পৃষ্ঠার রিপোর্টে বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে কয়েকটি গুমের ঘটনার সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এতে বলা হয়, কমিশনের ওয়ার্কিং গ্রুপ আর্জেন্ট কেস হিসেবে ইমাম মাহাদি হাসান নামের একজনের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়,গত ৬ নভেম্বর সাদা পোশাকে একদল ব্যক্তি তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে ফুলবাড়িয়ার ওই ঘটনায় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের কেউ সম্পৃক্ত থাকতে পারে।

রিপোর্টে স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিউর হিসেবে আরও কয়েকটি ঘটনা তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, ওয়ার্কিং গ্রুপ মোহাম্মদ ওমর ফারুক নামের একজনের বিষয়েও সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে। তাকে ২০১৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি তার আত্মীয়ের বাড়িতে অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করা হয়। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন এবং পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্য বলে তারা পরিচয় দেন।

রিভিউ রিপোর্টে গত ১০ জানুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়ের তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে জানিয়ে বলা হয়, যার ভিত্তিতে ওয়ার্কিং গ্রুপটি মোহাম্মদ মাহমুদ হাসান, মোহাম্মদ আলতাফ হাওলাদার, মোহাম্মদ হাসিনুর রহমান, মোহাম্মদ সিদ্দিকুর সম্পর্কিত আটটি মামলা খতিয়ে দেখেছে।

তদন্ত প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসাও করা হয় রিপোর্টে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের খুঁজে বের করতে সরকারের তরফে যে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে তা উল্লেখ করে এতে বলা হয়, অনুসন্ধান অব্যাহত রাখার বাধ্যবাধকতার বিষয়টি স্মরণে রাখতে হবে। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পক্ষে যারা কাজ করছেন তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতেরও তাগিদ দিয়েছে এইচআরসি।

জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপের ১২৫তম অধিবেশন শেষে তৈরি করা প্রতিবেদনে বাংলাদেশের গুম পরিস্থিতি নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরা হয়। গত বছরের ২০ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়ার্কিং গ্রুপের ওই বৈঠক হয়। গত ৬ ডিসেম্বর এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন হালনাগাদ করেছে ওয়ার্কিং গ্রুপ।

হালনাগাদ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ও ভিন্নমতাবলম্বীদের নিশানা করতে গুমকে অব্যাহতভাবে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার বিরুদ্ধে। গুমের এসব অভিযোগের বিষয়ে তাদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য তথ্য রয়েছে।

XS
SM
MD
LG