বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ধান মজুতের অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নেমেছে ব্যবসায়ীরা। সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “ধান কিনে মজুত করার অসুস্থ প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। সবাই প্রতিযোগিতা করে ধান কিনছে, ভাবছে ধান কিনলেই লাভ। এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা ভালো পরিণতি আনবে না।”
রবিবার (২৯ মে) সচিবালয়ে নিজ কার্যালয় থেকে, বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়,বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “অধিকাংশ মিল মালিক বাজার থেকে ধান কিনলেও, তারা চাল উৎপাদনে যাচ্ছেন না।”
তিনি বলেন, “এখন বাজারে যে চাল পাওয়া যাচ্ছে তা গত বছরের পুরাতন চাল।” তাহলে নতুন ধান যাচ্ছে কোথায়? মিল মালিকদের প্রতি এ প্রশ্ন রাখেন বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী।খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, “কে কত পরিমাণ ধান কিনছেন এবং কে কত পরিমাণ চাল ক্রাশিং করে বাজারে ছাড়ছেন, সে বিষয়ে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন করপোরেট হাউস ধান চালের ব্যবসা শুরু করেছে। তারা বাজার থেকে ধান কিনে মজুত করছেন এবং প্যাকেটজাত করছেন। প্যাকেটজাত চাল বেশি দামে বাজারে বিক্রিও হচ্ছে।”
তাই চালের ব্যবসায় সম্পৃক্ত কর্পোরেট হাউসগুলোর সঙ্গে দ্রুততম সময়ে বৈঠক করতে খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
ভারত থেকে গম দেয়া বন্ধ হচ্ছে, এমন গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন খাদ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশকে গম দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে চিঠি পাঠিয়েছে।
বাংলাদেশের খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “উত্তরাঞ্চলে ঝড় ও বৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হয়েছে। কোন জেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার সঠিক হিসাব জানা না গেলে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে না।” তাই, কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঠিক তথ্য দেয়ার নির্দেশনা দেন তিনি।