বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের চিকিৎসা সেবায়, তদারকি, নিয়ন্ত্রণ ও সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য, একটি তদারকি সংস্থা গঠনের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি।
বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায়, অবৈধ বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চলমান অভিযানকে ইতিবাচক বলে মনে করে টিআইবি।
এক বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবি জানিয়েছে, অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনা দীর্ঘ-চক্র গড়ে তোলায়, এ খাতের সার্বিক সুশাসন নিশ্চিত করার জন্য এ পদক্ষেপ যথেষ্ট নয়।
টিআইবির মতে, এ কারণেই সংস্থাটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হিসেবে একটি তদারকি সংস্থা চেয়েছে।
বেসরকারি চিকিৎসা খাতে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ নিয়ে টিআইবির ২০১৮ সালের গবেষণার কথা উল্লেখ করে, সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ডা. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সরকারি অভিযান শুরুর মাত্র একদিন পর, বিপুল সংখ্যক লাইসেন্সের আবেদন এবং পুরাতন লাইসেন্স নবায়নের আবেদন জমা দেয়া সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ করে, বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতে যথাযথ তদারকির অভাব রয়েছে।”
তিনি বলেন, “এ পরিস্থিতিতে ‘বর্তমান ও নৈরাজ্যমূলক খাতে’ সুশাসন নিশ্চিত করতে, চলমান প্রচারণা কতটা কার্যকর হবে তা প্রশ্নবিদ্ধ।”
টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, “দীর্ঘমেয়াদী সুফল পেতে হলে, বেসরকারি চিকিৎসা সেবার নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত খসড়া আইন চূড়ান্ত করা প্রয়োজন এবং বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা খাতের মান পর্যবেক্ষণের জন্য একটি শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ তদারকি সংস্থা গঠন করা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারে।”
‘প্রাইভেট মেডিক্যাল সার্ভিসেস: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ এবং কাটিয়ে ওঠার উপায়’- শীর্ষক প্রতিবেদনে এই খাতের বাণিজ্যিকীকরণের প্রবণতা, মুনাফামুখী সেবাব্যবস্থা এবং সরকারের পরিদর্শন ও তদারকির অভাব, কীভাবে সাধারণ মানুষকে তাদের কাছে জিম্মি করে তুলেছে, তা তুলে ধরা হয়েছে।
টিআইবি, দুর্নীতিবাজদের নিয়ন্ত্রণ করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা, সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে মনে করে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।