অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে অগ্রাধিকার পেলো পানি নিরাপত্তা


কার্লসবাড ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টের একজন কর্মকর্তা ক্যালিফোর্নিয়ার কার্লসবাডে সমুদ্রের পানি থেকে তৈরি ফিল্টার করা পানি দিয়ে একটি কাপ ভর্তি করছেন। ২৬ মে, ২০২২।
কার্লসবাড ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্টের একজন কর্মকর্তা ক্যালিফোর্নিয়ার কার্লসবাডে সমুদ্রের পানি থেকে তৈরি ফিল্টার করা পানি দিয়ে একটি কাপ ভর্তি করছেন। ২৬ মে, ২০২২।

ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বুধবার গ্লোবাল ওয়াটার সিকিউরিটি নিয়ে হোয়াইট হাউসের অ্যাকশন প্ল্যান ঘোষণা করেছেন, যাতে পানির ঘাটতি এবং জাতীয় নিরাপত্তার মধ্যে সরাসরি যোগসূত্র স্থাপন এবং প্রথমবারের মতো একটি মূল বৈদেশিক নীতির অগ্রাধিকার হিসেবে পানি সুরক্ষাকে উন্নীত করা হয়েছে।

হ্যারিস উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উল্লেখ করেন, ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা তার পানির চাহিদা পূরণের জন্য সংগ্রাম করতে পারে; খাদ্যের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক ও জনস্বাস্থ্য সমস্যার ফলে নিরাপত্তাহীনতা ও গণ অভিবাসনের মতো অবস্থা সৃষ্টি হতে পারে এবং বিশ্বজুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ওপর গভীর প্রভাব ফেলবে।

একজন জ্যেষ্ঠ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেছেন, বাইডেন প্রশাসনের কর্মপরিকল্পনা হলো “বিশ্বব্যপী পানি সুরক্ষার জন্য একটি সরকারব্যাপি দৃষ্টিভঙ্গি।”

গ্লোবাল ওয়াটার সিকিউরিটি অ্যাকশন প্ল্যানে তিনটি স্তম্ভ রয়েছেঃ সারা বিশ্বে পানির প্রাপ্যতা নিশ্চিৎ করা, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি। পানি সম্পদের টেকসই ব্যবস্থাপনার প্রচার এবং বহুপাক্ষিক পদক্ষেপ নিশ্চিত করা যা পানি নিরাপত্তাকে উৎসাহিত করে।

এর মানে হলো যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টাগুলো তাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সাথে গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি এবং অবকাঠামো উদ্যোগগুলোতে পানি সুরক্ষার ব্যাপারটিকে একীভূত করবে।

পর্যবেক্ষকরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন।

XS
SM
MD
LG