রাশিয়া মঙ্গলবার দাবি করেছে তারা পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক প্রদেশের প্রায় সবটুকুর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে, তবে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন যে তাদের সৈন্যরা এই অঞ্চলের প্রধান শিল্প শহর সিভিয়েরোডোনেটস্কের রাস্তায় মস্কোর বাহিনীর সাথে ভয়ঙ্কর লড়াই সত্বেও সেখানে অবস্থান করছে।
পূর্ব ইউক্রেনে কয়েক সপ্তাহের হামলার পর, রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেছেন যে মস্কোর বাহিনী এখন লুহানস্ক প্রদেশের ৯৭ ভাগ নিয়ন্ত্রণ করছে। তিন মাসের বেশি সময় ধরে লড়াইয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্সকিকে ক্ষমতাচ্যূত করতে কিংবা রাজধানী কিয়েভ দখল করতে ব্যর্থ হ্ওয়ার পর তিনি ডনব্যাসের এই অংশ দখল করার দাবি করছেন।
জেলেনস্কি, সোমবার তার রাতের ভিডিও ভাষণে বলেন, "আমাদের বীররা সিভিয়ারোডোনেটস্কে তাদের অবস্থান ছেড়ে দিচ্ছে না।"
শহরের মেয়র ওলেক্সান্ডার স্ট্রিউক মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, "আমাদের সশস্ত্র বাহিনী তাদের অবস্থান শক্তিশালী করেছে এবং লাইন ধরে রেখেছে।"
লুহানস্ক প্রদেশের উপর পূর্ণ আধিপত্য ধরে রাখার জন্য মস্কোর প্রচেষ্টার জন্য সিভিয়েরোডোনেটস্কের লড়াই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক সপ্তাহ আগে, রুশ বাহিনী শহরের ৭০ ভাগ দখল করেছিল, কিন্তু ইউক্রেনের একটি পাল্টা আক্রমণ মস্কোর সৈন্যদের পিছনে ঠেলে দেয়, যার ফলে শহরের নিয়ন্ত্রণ কাদের হাতে রয়েছে সে নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।
রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই একে অপরের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে বলে দাবি করেছে।
শোইগু বলেছেন যে রাশিয়ার সৈন্যরাও পোপাসনা শহরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে এবং তিনি বলেছেন যে তারা লাইমান, সোভিয়াতোহিরস্ক এবং এই অঞ্চলের অন্যান্য ১৫টি শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
তিনি বলেন, গত ২৪ ফেব্রুয়ারী ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে ৬,৪৮৯ জন ইউক্রেনীয় সৈন্যকে বন্দী করা হয়েছে, যার মধ্যে গত পাঁচ দিনে বন্দী করা হয়েছে ১২৬ জনকে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াক তার জনগণকে যুদ্ধক্ষেত্রের এ বিপরীত খবরে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি একটি ভিডিওতে বলেন, "আমরা কিছু ছেড়ে দিয়েছি এমন খবরে আপনারা ভয় পাবেন না। এটা স্পষ্ট যে কৌশলগত কর্মতত্পরতা চলছে। আমরা কিছু ছেড়ে দিই, কিছু ফিরিয়ে নিই।"