অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

খসড়া অপতথ্য আইনের বিষয়ে তুরস্কের গণমাধ্যম সংস্থাগুলোর উদ্বেগ প্রকাশ


তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সংসদে এক অধিবেশন চলাকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার ক্ষমতাসীন একে পার্টির (একেপি) সদস্যদের অভিবাদন জানাচ্ছেন। (রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)
তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় সংসদে এক অধিবেশন চলাকালে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট তাইয়্যেপ এরদোয়ান তার ক্ষমতাসীন একে পার্টির (একেপি) সদস্যদের অভিবাদন জানাচ্ছেন। (রয়টার্সের মাধ্যমে প্রাপ্ত)

অপতথ্য প্রচারকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, এক বছর পুরনো খসড়া একটি আইন তুরস্কের সংসদে ভোটের জন্য উত্থাপিত হতে যাচ্ছে। আইনটি গোটা দেশের গণমাধ্যম অধিকার সংস্থাগুলোর গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।

ক্ষমতাসীন সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদদের দ্বারা বিলটি উত্থাপিত হয়। তথাকথিত “অপতথ্য” আইনটি পাস হলে, তার মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের সংজ্ঞা অনুযায়ী ভুয়া সংবাদ বা মিথ্যাতথ্য প্রচারের জন্য তিন বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে ।

৪০টি ধারায় প্রস্তাবিত আইনটি সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীদের উদ্দেশ্য করে এবং ডিজিটাল মাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণের কিছু ধারা রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি পাস হলে তা ডিজিটাল মাধ্যম সংস্থাগুলোকে প্রচলিত সংবাদ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করবে এবং সেগুলো প্রিন্ট ও সম্প্রচার মাধ্যমের মত একই অধিকার এবং বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে। এর মধ্যে রয়েছে, প্রেস পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করার যোগ্যতা এবং রাষ্ট্রীয় বিজ্ঞাপন ব্যয় লাভ করার অধিকার।

প্রস্তাবিত আইন সম্পর্কে সংশয় পোষণকারীরা বলছেন যে, তুরস্কের আসন্ন নির্বাচনের আগে, ডিজিটাল মাধ্যমকে চাপে রাখার জন্য আইনটি ব্যবহার করা হতে পারে। ২০২৩ সালের জুন মাসে আগামী প্রেসিডেন্ট এবং সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিরোধীদলগুলো তার আগেই মধ্যবর্তী নির্বাচনের আহ্বান জানিয়েছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান এমন প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছেন।

কনফেডারেশন অফ প্রগ্রেসিভ ট্রেড ইউনিয়নস অফ টার্কি’র প্রেস ইউনিয়নের প্রধান হলেন ফারুক এরেন। তিনি ভিওএ-কে বলেন, “আমরা উদ্বিগ্ন যে, প্রস্তাবটি যদি নির্বাচনের আগে আইনে পরিণত করা হয়, তাহলে সেটিকে মুখ বন্ধ করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “প্রস্তাবটিতে ‘ভুয়া সংবাদ এবং মিথ্যা সংবাদ’ এর মত অস্পষ্ট শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যেই তাদের জন্য বিরক্তিকর সব সংবাদকেই ‘মিথ্যা’ বা ‘ভিত্তিহীন’ বলে। এখন এই আইন ব্যবহার করে তারা ডিজিটাল মাধ্যমকে চুপ করানোর চেষ্টা করবে।”

তবে, প্রস্তাবের পক্ষে স্বাক্ষরকারীরা বলছেন যে, “অপবাদ, অপমান, কালিমালেপন, মানহানি, হিংসা ও বৈষম্য” থেকে মানুষজনকে রক্ষা করতে আইনটি প্রয়োজন। তারা এও যুক্তি দিয়েছেন যে, পশ্চিমা দেশগুলোতেও অপতথ্য নিয়ে এধরণের বিধিনিষেধ কার্যকর রয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলোও রয়েছে।

XS
SM
MD
LG