অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

অর্থ আত্মসাৎ: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজিসহ ৬ জনের বিচার শুরু


স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মধ্য দিয়ে, এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।

রবিবার (১২ জুন) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিয়োগ গঠন করেন। একই সঙ্গে, মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৪ জুলাই দিন ধার্য করেন।

গত সোমবার (৬ জুন) আবুল কালাম আজাদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানী করেন দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদকের আইনজীবী। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করেন।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক অভিযোগ গঠনের আদেশের জন্য ১২ জুন দিন ধার্য করেন।

২০২০ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ, ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী এ মামলা করেন।

মামলায়, হাসপাতালের লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকার পরও করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ ও চিকিৎসার জন্য চুক্তি করে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে, আবুল কালাম আজাদকে অভিযুক্ত করা না হলেও, তদন্তে নাম আসায় অভিযোগপত্রে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়।

২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর, স্বাস্থ্যের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী, আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে, মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এ বদলির আদেশ দেন।

মামলার বিবরণ অনুযায়ী, অভিযুক্তরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে, লাইসেন্স নবায়ন না করা রিজেন্ট হাসপাতালকে ডেডিকেটেড কোভিড হাসপাতালে রূপান্তর, সমঝোতা স্মারক চুক্তি সম্পাদন ও সরকারি প্রতিষ্ঠান নিপসমের ল্যাবে তিন হাজার ৯৩৯ জন করোনা রোগীর নমুনা বিনামূল্যে পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, “ওই হাসপাতালে নমুনা পরীক্ষার জন্য রোগী-প্রতি তিন হাজার ৫০০ টাকা করে মোট এক কোটি ৩৭ লাখ ৮৬ হাজার ৫০০ টাকা নেয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে রিজেন্ট হাসপাতালের মিরপুর ও উত্তরা শাখার চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় ও অন্য কর্মকর্তাদের মাসিক খাবার খরচ হিসেবে এক কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার টাকার চাহিদা তুলে ধরাসহ এর খসড়া স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর উদ্যোগ নেয়া হয়।”

অভিযোগপত্রে উল্লেখিত অভিযুক্তরা হলেন; স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক ডিজি আবুল কালাম আজাদ, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. ইউনুস আলী, সহকারী পরিচালক (হাসপাতাল-১) ডা. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. দিদারুল ইসলাম।

XS
SM
MD
LG