অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি ১৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ: অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট


এ মামলার দুই আসামির জামিন আবেদনের শুনানিকালে, মঙ্গলবার(১৪ জুন) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আদালতে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

এবি ব্যাংকের ১৭৬ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধানের পর, দুদক গত বছরের ৯ জুন একটি মামলা করে। ঐ মামলায় ১৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। এই ১৭ জনের মধ্যে, অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম আগাম জামিনের আবেদন করেন। আগাম জামিনের পর, তারা নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত তাদের জেলে পাঠিয়ে দেন। এরপর, জেল থেকে তারা জামিন চেয়ে নিয়মিত আপিল করেন। গত ৭ ডিসেম্বর শুনানি শেষে, হাইকোর্ট দুজনের জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেন। একই সঙ্গে আগামী সাতদিনের মধ্যে অন্য ১৫ আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন আদালত। পাশাপাশি এ ১৫ জন যাতে বিদেশে যেতে না পারে সেজন্য নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

১৫ আসামি হলেন; এরশাদ আলী, এবিএম আব্দুস সাত্তার, আনিসুর রহমান, রুহুল আমিন, ওয়াসিকা আফরোজী, মুফতি মুস্তাফিজুর রহমান, সালমা আক্তার, মোহাম্মদ এমারত হোসেন ফকির, তৌহিদুল ইসলাম, শামীম এ মোরশেদ, খন্দকার রাশেদ আনোয়ার, সিরাজুল ইসলাম, মাহফুজ উল ইসলাম, মশিউর রহমান চৌধুরী, শামীম আহমেদ চৌধুরী।

অভিযুক্ত শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিমের জামিন প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১৪ জুন) আদালতের কার্যতালিকায় ওঠে। পরে হাইকোর্ট ঐ আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক জানান, “প্রাপ্ত তথ্য মতে, ১৫ অভিযুক্তের মধ্যে এরশাদ আলীকে সরাসরি জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া, এবিএম আব্দুস সাত্তার আত্মসমর্পণ করলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর, জামিন আবেদনকারী শহীদুল ইসলাম ও আব্দুর রহিম কারাগারে আছেন। বাকি ১৩ অভিযুক্ত এখনও পলাতক।”

XS
SM
MD
LG