যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া উত্তর কোরিয়ার আসন্ন পারমাণবিক পরীক্ষা সংক্রান্ত সব ধরনের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কূটনৈতিক অচলাবস্থা এবং উত্তর কোরিয়াকে আরও উস্কানি থেকে বিরত রাখার অক্ষমতা নিয়ে কংগ্রেস সদস্য এবং বিশ্লেষকদের কাছ থেকে কঠিন প্রশ্নের সম্মুখীন হচ্ছে।
সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন পররাষ্ট্র মন্ত্রকে দক্ষিণ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্ক জিনের সাথে আলোচনা করেছেন। উত্তর কোরিয়ার নজিরবিহীন সংখ্যক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং পারমাণবিক হুমকির একটি “সমন্বিত এবং দৃঢ়” প্রতিক্রিয়া নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন। এই বছর উত্তর কোরিয়া ৩১টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে যা ২০১৯ সালে ২৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে।
পার্ক বলেছেন, তার বিশ্বাস উত্তর কোরিয়া পরবর্তী পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি শেষ করেছে এবং এখন কেবল একটি “রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত” প্রয়োজন।
২০০৬ সাল থেকে এটি পিয়ংইয়ং-এর সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা এবং ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরের পর এটি প্রথম।
উত্তর কোরিয়া বিষয়ক যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ প্রতিনিধি সুং কিম জানান, বাইডেন প্রশাসন পূর্বশর্ত ছাড়াই পিয়ংইয়ং-এর সাথে সংলাপ চায় । তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে বা ব্যাক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত বার্তাসহ উত্তর কোরিয়ার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সংলাপের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উত্তর কোরিয়ার (ডেমোক্র্যাটিক পিপলস রিপাবলিক অফ কোরিয়া বা ডিপিআরকে) কাছে পাঠানো হয়েছে।
কূটনৈতিক আলোচনায় আগ্রহী- এমন কোনো প্রতিক্রিয়া বা ইঙ্গিত উত্তর কোরিয়া দেয়নি।
বিল গ্যালো এবং ক্রিস্টি লি এ প্রতিবেদন তৈরিতে সহায়তা করেছেন।