জ্বালানি সঙ্কটের কারণে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সংরক্ষণের জন্য এখন থেকে প্রতি শুক্রবার সরকারি কর্মচারীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রাদেশিক অর্থমন্ত্রী তৈমুর খান ঝাগরা মঙ্গলবার ভিওএ-কে বলেছেন, "বাড়ি থেকে কাজ করার নীতিটি বিদ্যুৎ ও তেলের ক্রমবর্ধমান মূল্যের ফলে প্রণয়ন করতে হয়েছে।" প্রাদেশিক রাজধানী পেশোয়ারে আঞ্চলিক আইনসভায় বাজেট পেশ করার একদিন পর তিনি এ কথা বলেন।
তিনি যুক্তি দেন, বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বেসরকারী খাত তাদের নিজস্ব উপায়ে ঘরে বসে কাজকে অন্তর্ভুক্ত করছে, তাই তার সরকার ক্রমবর্ধমান আর্থিক এবং জ্বালানী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার জন্য সরকারী খাতে এই নীতি চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে।
ঝাগরা উল্লেখ করেন, "প্রদেশের ৬ লাখ সরকারী চাকুরীজীবী, যদি তাদের অর্ধেক সত্যিই বাড়ি থেকে কাজ করতে পারে, তাহলে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের পরিমাণ বছরে ২ থেকে ৫ বিলিয়ন রুপি (১ ডলার=২০৫ রুপি)হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি, যা আমাদের মতো একটি সরকারের জন্য একটা বিশাল সঞ্চয়।”
প্রাদেশিক মন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন, সরকারী বিভাগগুলি এমন কর্মীদের সনাক্ত করবে যাদের আসলেই শুক্রবারে কাজ করতে হবে। তবে পুলিশ, স্কুল এবং হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবাগুলি সপ্তাহে চার দিনেরও বেশি সক্রিয় থাকবে।
আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া পাকিস্তানের তৃতীয় জনবহুল একটি প্রদেশ। এটি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টি শাসন করে।
পাকিস্তানে বর্তমানে ৭,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে। দেশটিতে জাতীয় গ্রিড থেকে ৩৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণের সক্ষমতা রয়েছে। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ ২৭,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছে যায়।
বিদ্যুতের সংকটের ফলে পাকিস্তান জুড়ে প্রতিদিন নিয়ম করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং হচ্ছে। যা ব্যবসায়িক কার্যক্রম এবং জীবনযাত্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। দেশটির কিছু অংশ গ্রীষ্মকালে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১১৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট) পর্যন্ত তাপমাত্রা অনুভব করে।