চার বছর আগে ভারত তার বার্ষিক প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অ্যাসোসিয়েশন অফ সাউথ ইস্ট এশিয়ান নেশন্স (আসিয়ান)-এর নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ১০ সদস্যের এই সংস্থাটির সাথে অংশীদারিত্বকে গতি দেয়ার জন্য এটি ছিল নয়াদিল্লির একটি প্রতিকী ইঙ্গিত।
ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো অন্যান্য দেশগুলো ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবকে হঠানোর জন্য এ প্রচেষ্টাটি গতিশীল হচ্ছে।
নয়াদিল্লীর সাথে সম্পর্কের ৩০ তম বার্ষিকী উপলক্ষে এবং সহযোগিতা বৃদ্ধির উপায় নিয়ে আলোচনা করতে আসিয়ান সদস্যদের পররাষ্ট্র মন্ত্রীদের দুদিনের সভা অনুষ্ঠিত হবে। ২০২২ কে ভারত-আসিয়ানের মিত্রতার বছর হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
আসিয়ানের সদস্য ১০ দেশ হলো সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড,ভিয়েতনাম, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া,লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন।
এটি টোকিওতে কোয়াড শীর্ষ সম্মেলনের ৩ সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ওই শীর্ষ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এশিয়া অঞ্চলে কার্যক্রম বাড়াতে ইন্দো-প্যাসিফিক ইকোনমিক ফ্রেমওয়ার্ক (আইপিএফ) চালু করেছেন। কোয়াড ছাড়াও ৭টি আসিয়ান সদস্য ওই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা না হলেও বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া বৈঠকে মিয়ানমারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত নাও থাকতে পারেন। গত বছর মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে আসিয়ান তাদের উচ্চ পর্যায়ের সভায় মিয়ানমারের অরাজনৈতিক প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণের অনুমতি দেয়।