প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার বলেছেন যে, তিনি চীনা পণ্যের উপর ট্রাম্প-যুগে আরোপিত কিছু শুল্ক প্রত্যাহার করবেন কিনা, তা বিবেচনা করার পাশাপাশি তিনি চীনা নেতা শি জিনপিংয়ের সাথে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন।
ঠিক কখন তাঁরা কথা বলতে পারেন, এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন কিছু বলেননি। তবে তিনি চীনা পণ্যের উপর শুল্ক প্রত্যাহারের বিষয়ে একটা সিদ্ধান্তে উপনীত হবার খুব কাছাকাছি পৌঁছেছেন বলে জানিয়েছেন।
ডেলাওয়্যারে তার বিচ হোম বা সৈকত বাড়ির কাছে বাইক চালানোর শেষে বাইডেন সাংবাদিকদের সাথে এক সংক্ষিপ্ত মত বিনিময় কালে বলেন, "আমি এ ব্যাপারে মানসিক প্রস্তুতি নেবার প্রক্রিয়ার মধ্যে আছি।"
জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক পরামর্শকেরা যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক নীতির পর্যালোচনা সম্পন্ন করার এবং প্রেসিডেন্টের কাছে সেটি সুপারিশ করার একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের অধীনে তৎকালীন সরকার শত শত কোটি ডলারের চীনা পণ্যের উপর ২৫% শুল্ক আরোপ করেছিল। এই শাস্তির উদ্দেশ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি কমানো এবং চীনকে ন্যায্য অভ্যাস গ্রহণে বাধ্য করা।
অর্থ মন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরোপিত এই শুল্কগুলির কিছু কিছু বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি ক্যাথরিন তাইসহ বাইডেন প্রশাসনের অন্যরাও শুল্ক সহজ করার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, যখন চীন যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য কেনার বিষয়ে তার চুক্তিগুলিকে বহাল রাখেনি।
গত মাসে এক সাক্ষাত্কারে বার্তা সংস্থা এপি-কে তিনি বলেছিলেন, "তাই আমাদের জন্য যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তা হল এটা নিশ্চিত করা যে, মধ্যমেয়াদী কৌশলগত পুনর্বিন্যাস। আমরা জানি, আমাদের এমন কিছু অর্জন করতে হবে, যা আমরা করতে সক্ষম। এছাড়া স্বল্প মেয়াদে আমরা যা করি, তা যেন বৃহত্তর লক্ষ্যের ক্ষতিসাধন না করে।"