ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এম. ভেঙ্কাইয়া নাইডু, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো-টলারেন্স নীতির জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে বলেন,“ এই নীতি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে শান্তি ও নিরাপত্তা এনেছে।”
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সুদৃঢ় হওয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের জন্যও তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সোমবার (২০ জুন) নতুন দিল্লীতে ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এসময় তারা পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ভেঙ্কাইয়া নাইডু বলেন, “বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থার ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠেছে। ভারতের বৈদেশিক নীতির দৃষ্টিভঙ্গিতে, বাংলাদেশ একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কারণ উভয় দেশই যৌথ ইতিহাস, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, ভাষা ও অভিন্ন মূল্যবোধের মাধ্যমে সম্পৃক্ত।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন, বৈঠকের জন্য সময় দেয়ায়, ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
এসময় বাংলাদেশের পররষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ভারতকে নিকটতম প্রতিবেশি হিসেবে বিবেচনা করে এবং দুই দেশ অভিন্ন নদী ও পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি, কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি ও সাইবার নিরাপত্তার মতো খাতে সহযোগিতার জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।”
গত এক দশকে অর্জিত অর্থনৈতিক সাফল্যের জন্য, ভেঙ্কাইয়া নাইডু বাংলাদেশকে অভিনন্দন জানান এবং আগামী দিনে আরও সমৃদ্ধির জন্য একসঙ্গে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, ভারতের পেট্রোলিয়াম, প্রাকৃতিক গ্যাস ও আবাসন এবং নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরির সঙ্গেও সাক্ষাত করেন।
দুই মন্ত্রী পরমাণু শক্তি, সৌর ও বায়ুর মতো নবায়নযোগ্য সম্পদ, এলএনজি, এলপিজি ও ডিজেল ইত্যাদি শক্তি সহযোগিতার ক্ষেত্রে উভয় দেশের বিদ্যমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। তারা শক্তির চাহিদা ও সরবরাহের ওপর বিশেষ জোর দিয়ে, বৈশ্বিক পরিবর্তিত পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন।
দুই মন্ত্রী, উপ-অঞ্চলে জ্বালানি নিরাপত্তা ও জ্বালানি সহযোগিতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
ভারতের পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী, বিদ্যমান সহযোগিতাকে আরও দৃঢ় করার জন্য এবং জ্বালানি খাতে সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র অন্বেষণের জন্য, নিয়মিত বৈঠক ও সংলাপ করার প্রস্তাব দেন।
রবিবার (১৯ জুন) অনুষ্ঠিত ৭ম জেসিসি বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। সোমবার (২০ জুন) সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন তিনি।