বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার অক্সিজেন মোড় এলাকায়, বৃষ্টির মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে এক নারীকে বাসে তুলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে, বাসটির চালকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৯ জুন) দুপুরের দিকে অক্সিজেন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন; বাসের চালক বাঁশখালী বানিগ্রাম এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম (৩০), চালকের সহকারী ভুজপুর থানার নতুনপাড়া এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে রবিউল (২৩), বাসের সুপারভাইজার ও খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ রাজু (২৬) এবং ভুজপুর থানার নারায়ণহাট ইউনিয়নের আবুল কালামের ছেলে মো. শাহাদাত (২২)।
ভুক্তভোগী নারী জানিয়েছেন, “সেসময় বাইরে প্রচুর বৃষ্টিপড়ার কারণে তার চিৎকার কেউ শুনতে পায়নি। প্রায় একঘন্টা পর বৃষ্টি থেমে গেলে তিনি চিৎকার করতে থাকায়, তাকে বাস থেকে নামিয়ে দেয় অভিযুক্তরা।”
সোমবার (২০ জুন) বিকালে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান বলেন, “রবিবার দুপুরে ভুক্তভোগী নারী বায়েজিদ ছিন্নমূলে তার চাচার বাসা থেকে রিকশাযোগে অক্সিজেন মোড়ে পৌঁছান। সেসময় ভারী বৃষ্টি হচ্ছিল। ঐ নারী অক্সিজেন রেলবিটের পাশে, একটি ছাউনির নিচে আশ্রয় নেন। এ সময় সেখানে পার্ক করে রাখা একটি বাসের চালক ও সহকারীরা নারীকে দেখে কোথায় যাবেন জিজ্ঞেস করেন। ঐ নারী কোর্ট বিল্ডিং যাওয়ার কথা বলেন। বাসটি কোর্ট বিল্ডিং যাবে বলে, তাকে বাসে তোলেন তারা। এরপরই ঐ নারী অভিযুক্ত চারজনের দ্বারা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।”
মো. কামরুজ্জামান আরও জানান, “এরপর ভুক্তভোগী নারী তাৎক্ষণিক অক্সিজেন পুলিশ বক্সে এসে ট্রাফিক পুলিশকে ঘটনাটি জানান। পরে, ট্রাফিক সার্জেন্ট ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষণের ঘটনায় ব্যবহৃত বাসটি জব্দ করেন এবং শাহাদাত নামে একজনকে আটক করেন। পরে, রবিবার রাত সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযান চালিয়ে হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে অভিযুক্ত বাসচালক নুরুল আলম ও সুপারভাইজার রাজু এবং ফটিকছড়ি থেকে রবিউলকে আটক করে।”
এই ঘটনায়, ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে চারজনের নামে বায়েজিদ থানায় একটি মামলা করেছেন।
