অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

আবার প্লাবিত কুড়িগ্রামের নিম্নাঞ্চল, আতঙ্কে চরবাসী


কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি
কুড়িগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি

সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে উঠার আগেই, বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার নদী ধরলা, দুধকুমার ও তিস্তা এবং ব্রহ্মপুত্র নদে আবারও উজানের ঢল। এতে, আবারও প্লাবিত হচ্ছে নদী তীরবর্তী এলাকা। ডুবে যাচ্ছে বীজতলা ও ফসলের মাঠ। জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আতঙ্কে দিন যাপন করছেন চরে বসবাসকারী মানুষ। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, এবার বড় বন্যার আশঙ্কা নেই।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) বিকালে, কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও তিস্তার পানি বাড়ছে। তবে, এখনও বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুধু ধরলার পানি সেতু পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত বন্যায় ফসলের মাঠ ডুবে ৮০ হাজার কৃষকের প্রায় ১২৭ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ করা হয়েছে। কৃষকের এই ক্ষতি কাটতে না কাটতেই আবারও বন্যার আশঙ্কায় দিশেহারা কৃষক।

সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের আলো চরের কৃষক আতাউর রহমান বলেন, “গত বন্যায় পাট, সব্জীর খেতের ক্ষতি হয়েছে। এখন বীজতলা করেছি, সেটাও পানিতে ডুবে গেল। তিন দিনের বেশি পানি থাকলে বীজতলা নষ্ট হয়ে যাবে।”

সদরের পাঁচগাছি ইউনিয়নের মৎস্য চাষী খডু মিয়া বলেন, “আমার পুকুর গত বন্যায় তলিয়ে, অর্ধেকের বেশি মাছ বের হয়ে গেছে। আবারও যদি বন্যা হয়, এ নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় আছি।”

সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ৬ নং ওর্য়াডের ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য আব্দুল মজিদ জানান,“ আগের বন্যার পানি শুকানোর আগেই, আবারও ধরলার পানি বাড়ছে। আমার এলাকায় ৩০০ পরিবার নতুন করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।”

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, “ভারতের আসাম, মেঘালয় ও হিমালয়ের পাদদেশের বিভিন্ন স্থানে ভারী বৃষ্টির ফলে কুড়িগ্রামের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বড় কোন বন্যার আশংকা নেই।”

XS
SM
MD
LG