শুক্রবার (১ জুলাই) পাওয়া এক তথ্যে জানা গেছে, শ্রীলঙ্কা বন্দর কর্তৃপক্ষের (এসএলপিএ) চেয়ারম্যান প্রশান্ত জয়মান্না সম্প্রতি কলম্বোতে একটি আলোচনায় এই ঘোষণা দেন। তিনি কলম্বো বন্দরের বর্তমান সুবিধার পাশাপাশি, ভবিষ্যত পরিকল্পনা সম্পর্কেও বাংলাদেশকে অবহিত করেন।
শ্রীলঙ্কার বাংলাদেশ হাইকমিশন দীর্ঘদিন ধরে এসএলপিএ-র সঙ্গে এই অগ্রাধিকার বার্থিং ইস্যু নিয়ে আলোচনা করছে। এছাড়া, বাংলাদেশ হাইকমিশন, প্রথম অর্থনৈতিক কূটনীতি সপ্তাহ পালনের জন্য, চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরের মধ্যে শিপিং যোগাযোগ বাড়ানোর বিষয়ে, সম্প্রতি অংশীজনদের নিয়ে একটি পরামর্শ ফোরামের আয়োজন করে।
পরামর্শ ফোরামের উদ্দেশ্য ছিল, চট্টগ্রাম ও কলম্বো বন্দরগুলোর মধ্যে কাজ করতে গিয়ে সৃষ্ট সমস্যাগুলো বোঝার সুবিধা ও বৃহত্তর সংযোগ এবং সরবরাহ শৃঙ্খল সুরক্ষা নিশ্চিত করা। এই দুই বন্দরের মধ্যে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করাও ছিল এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
পরামর্শ ফোরামে, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, টার্মিনাল অপারেটর, মেইন-লাইন অপারেটর, ফিডার অপারেটর, মালবাহী ফরওয়ার্ডার এবং উভয় বন্দরের ব্যবহারকারীরা তাদের নিজ নিজ মতামত ব্যক্ত করেন।
শ্রীলঙ্কায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক মো. আরিফুল ইসলাম বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কলম্বো বন্দরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি মহামারি ও যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক লজিস্টিক অপারেশনে পরিবর্তন এবং কলম্বো বন্দর থেকে সম্ভাব্য প্রণোদনার প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেছেন।
কলম্বোর বাংলাদেশ হাইকমিশন জানায়, এসএলপিএর চেয়ারম্যান, প্রাইভেট টার্মিনাল অপারেটর এবং শ্রীলঙ্কার শিপিং কমিউনিটি, বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের অব্যাহত অগ্রাধিকার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
উভয় পক্ষই দুই দেশের সকল অংশীজনের মধ্যে রিয়েল টাইম যোগাযোগের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি জানান, গত বছর কলম্বো বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের কনটেইনার যাতায়াত উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।
বাংলাদেশের অংশীজনদের প্রতিনিধিরা, কলম্বো বন্দর সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের দৃষ্টিভঙ্গি, শিপিং অপারেশনে উদীয়মান প্রবণতা এবং চ্যালেঞ্জগুলো নিয়ে আলোচনা করেন।
