অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বাংলাদেশে জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫২৪ জনের মৃত্যু,সর্বোচ্চ মৃত্যু-হার মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়


বাংলাদেশে জুন মাসে ৪৬৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৩ শিশুসহ ৫২৪ জন নিহত ও ৮২১ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৪ জন মারা গেছে; যা মোট মৃত্যুর ৩৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এছাড়া, দুর্ঘটনায় ১০৭ জন পথচারী, ৮৬ জন চালক ও তাদের সহকারী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ জুলাই) রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। এ সময় ৮টি নৌদুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত, ১৬ জন আহত হয়েছে এবং ৩ জন নিখোঁজ রয়েছে। আর, ১৮টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত এবং ৪ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেক্ট্রনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, “দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৫৯টি (৩৪.০৪ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৪টি (৩৭.২৫ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৭২টি (১৫.৪১ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ৫৬টি (১২ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৬টি (১.২৮ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “ঢাকা বিভাগে ২৫.০৫ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৫.৪১ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৬.৪৮ শতাংশ, খুলনায় ১৪.৩৪ শতাংশ, বরিশালে ৯ শতাংশ, সিলেটে ২.৭৮ শতাংশ, রংপুরে ১০.৪৯ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬.৪২ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।”

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন বলেছে, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। এ বিভাগে দুর্ঘটনার সংখ্যা ১৭টি, নিহত হয়েছেন ১৩৯ জন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম, ১৩টি দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, সড়ক দুর্ঘটনার ক্রমবর্ধমান প্রবণতার জন্য দায়ী কয়েকটি প্রধান কারণ চিহ্নিত করেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে; ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা, বেতন ও কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট না থাকা, মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, তরুণ ও যুবাদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, বিআরটিএ’র সক্ষমতার ঘাটতি এবং গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সমস্যার সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

XS
SM
MD
LG