বাংলাদেশের কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমে, বন্যা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নতি হয়েছে। তবে বানভাসিদের কষ্ট রয়েই গেছে। বাড়িঘর থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করলেও, নিজ বাড়িতে ফিরতে পারছেন না তারা। আশ্রয়কেন্দ্র থেকে বাড়িতে ফিরতে, আরও কয়েকদিন সময় লাগতে পারে। এদিকে, এক সপ্তাহ ধরে জেলার সবকটি নদ-নদীতে ভাঙন দেখা দিয়েছে। একদিকে বন্যার চাপ, অন্যদিকে নদী ভাঙন। এতে, সমস্যায় পড়েছেন বন্যার্ত ও নদী-পাড়ের মানুষ। ভাঙনের মাত্রা তীব্রতর হচ্ছে।
অন্যদিকে, বন্যার পানি নেমে গেলেও, পানিবাহিত নানা রোগ দেখা দিয়েছে। কিছু এলাকায় খাদ্য সংকট রয়েছে। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হচ্ছে, তা পর্যাপ্ত নয় বলে জানিয়েছে বন্যার্ত মানুষ।
সোমবার (৪ জুলাই) বিকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, “তিস্তা, ধরলা, দুধকুমর ও ব্রহ্মপুত্র নদের ২২টি পয়েন্টে ভাঙন দেখা দিয়েছে। গত এক সপ্তাহে, তিস্তা নদীর ভাঙনে রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙা ইউনিয়নের পাড়ামৌলা,ঘড়িয়ালডাঙা ও খিতাব খাঁ এলাকায় এবং সদর উপজেলার ধরলা নদীর ভাঙনে হলোখানা ইউনিয়নের সারডোব গ্রাম এবং উলিপুরে ব্রহ্মপুত্র নদের তীব্র ভাঙনে বজরা গ্রামের দেড় শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। আরও ঘর বাড়ি,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা, ভাঙনে হুমকিতে রয়েছে।”
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান,“তিস্তা ও ধরলার বেশ কয়েকটি পয়েন্টে তীব্র নদী ভাঙন চলছে। ভাঙন প্রতিরোধে বিভিন্ন পয়েন্টে বালুর বস্তা ফেলে, তীর রক্ষার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”