অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

জ্বালানি সাশ্রয়ে এলাকা ভিত্তিক লোডশেডিংয়ের কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সাশ্রয়ের জন্য, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এলাকাভিত্তিক লোডশেডিং চালু করার কথা ভাবছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শেখ হাসিনা বলেন, “আজ, আমি মনে করি যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু সময়ের জন্য (প্রতিদিন) বিদ্যুৎ উৎপাদন কমাতে বলব। যাতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত জ্বালানি সংরক্ষণ করা যায়।”

মঙ্গলবার (৫ জুলাই) রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে, ঢাকা সেনানিবাসে পিজিআর সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে অনলাইনে কর্মসূচিতে যোগ দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “অতীতে ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা লোডশেডিং ছিল। ঐ অবস্থা থেকে ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধি করা হয়। সরকার প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সক্ষম হয়েছে।”

সব এলাকায় গণহারে লোডশেডিং হবে না উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “নির্দিষ্ট এলাকা এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঘোষণা করে এটি করা হবে।”

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি আমরা এখন থেকে নির্দিষ্ট এলাকার জন্য লোডশেডিংয়ের সময় নির্দিষ্ট করতে পারি, তাহলে আমরা সামনের কঠিন দিনগুলো থেকে নিজেদের রক্ষা করতে পারব।”

করোনাভাইরাস মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে, বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্থিরতা চলছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে বিশ্বের অনেক দেশেই বিদ্যুতের ঘাটতি রয়েছে। ডিজেল, জ্বালানি তেল, এলএনজির মতো বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণের দাম ব্যাপকভাবে বাড়ানো হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকলকে মিত্যব্যায়ী হয়ে, সঞ্চয় বাড়ানোর আহ্বান জানান। বলেন, “ভবিষ্যতে কোন সংকট আসলে, তা মোকাবেলায় এই সঞ্চয় সাহায্য করবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যদি প্রত্যেক পরিবারের মধ্যে সঞ্চয়ের মানসিকতা গড়ে ওঠে এবং খাদ্যশস্যের সর্বোত্তম উৎপাদনশীলতার জন্য তাদের নিজস্ব জমি ব্যবহার করে, তবে এটি ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।”

শেখ হাসিনা বলেন “সব খালি জায়গা উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে হবে, তা যাই হোক না কেন। বাজারের ওপর চাপ কমাতে এবং বাড়তি খাবার বিক্রি করে লাভ করার জন্য আমাদের নিজেদের খাদ্য উৎপাদনের চেষ্টা করতে হবে। প্রত্যেক ব্যক্তি, পরিবার ও প্রতিষ্ঠানকে এ পদক্ষেপ নিতে হবে।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমেরিকা, ব্রিটেনসহ অনেক দেশই বিদ্যুতের স্বল্পতার কারণে উচ্চ মূল্যস্ফীতির সম্মুখীন হচ্ছে। যদি আমরা সতর্ক থাকি আমাদের কোন সমস্যা হবে না।”

ফোর্সেস গোল ২০৩০ অনুসরণ করে সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমরা কারও সঙ্গে যুদ্ধ করব না, আমরা শান্তি চাই। এক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতার প্রতিরক্ষা নীতি মেনে চলি। তবে, একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। বিশেষ করে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক সংগঠনগুলো গড়ে তুলতে হবে। আমরা সে জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করেছি।”

পদ্মা সেতু প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছি।”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য, ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর মতো ভবিষ্যত পরিকল্পনা নিয়েছি।”

XS
SM
MD
LG