গত মাসে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ও আরও ৩ মিত্র দেশ মিলে পার্টনার্স ইন দ্য ব্লু প্যাসিফিক জোট গঠন করেছে। এই উদ্যোগকে বিশ্লেষক এবং বেইজিং দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের কূটনৈতিক ও সামরিক আওতা সম্প্রসারণের উদ্যোগের বিপরীতে নেওয়া বেশ কিছু সাম্প্রতিক পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বিবেচনা করছে।
২৪ জুন এক সম্মিলিত বিবৃতির মাধ্যমে এই জোটটি আত্মপ্রকাশ করেছে। জোটের অন্য সদস্যরা হল জাপান, নিউজিল্যান্ড ও যুক্তরাজ্য।
গত কয়েক বছর ধরে চীন দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করেছে। সেখানে এক ডজনেরও বেশি ছোট ও মূলত দরিদ্র দেশ অপেক্ষাকৃত বড় দেশের কাছ থেকে আসা ত্রাণ ও বাণিজ্যের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল। চীনের এই উদ্যোগকে সর্বোচ্চ পরিমাণ সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
বিশেষজ্ঞরা জানান, গত কয়েক বছরে চীন এ অঞ্চলে তাদের দীর্ঘদিনের বাণিজ্যিক, বিশেষত মাছ ধরার ব্যাপারে আগ্রহের কারণে জলপথে প্রভাব বাড়াতে উদ্যত হয়েছে।
এপ্রিলে বেইজিং সলোমন দ্বীপপুঞ্জের সঙ্গে একটি নিরাপত্তা চুক্তি করে। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ অঞ্চলের ১৭টি ছোট ছোট রাষ্ট্রে সফর করে ৫২টি দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সমঝোতা করেন।
দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে কয়েক যুগ ধরে ‘কম্প্যাক্ট’ নামের এক ধরনের মৈত্রীর মাধ্যমে ওয়াশিংটন তার প্রভাব বিস্তার করে এসেছে, বিশেষ করে যেসব দেশ আগে যুক্তরাষ্ট্রের অধীনে ছি্ল, তাদের সাথে। লৌউই ইন্সটিটিউটের বর্ণনা মতে, অস্ট্রেলিয়া এই দ্বীপরাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক রক্ষার বিষয়টিকে তাদের সার্বিক নিরাপত্তার চাবিকাঠি হিসেবে বিবেচনা করছে।
যুক্তরাষ্ট্র ইতোমধ্যে গুয়াম ও হাওয়াই দ্বীপে সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। প্রতি দুই বছর পর পর সেখানে তারা চীন ছাড়া অন্য ২৫টি দেশের সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়।