অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ক্ষেত্রে কঠোর বাংলাদেশ ব্যাংক, বিলাসবহুল পণ্যে আমদানি ঋণ নিষিদ্ধ


অত্যাবশ্যক পণ্য ও জ্বালানি আমদানির ব্যয় মেটানোর ক্ষেত্রে মিতব্যয়ী হতে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ব্যয়ে কঠোর হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এই পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক ২৭ ধরনের পণ্য আমদানির ঋণের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এতে আমদানি চাহিদা হ্রাস পাবে যা সাম্প্রতিক মাসে ৪৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

এখন থেকে এসব পণ্য আমদানির জন্য আমদানিকারকরা ব্যাংক ঋণ পাবেন না। ঋণের এলসি আগে অনুমোদিত হলে ব্যাংকগুলো ফরেক্স ব্যবহার করতে পারবে না।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, করোনার দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব এবং চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিকে অস্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। দেশের মুদ্রা ও ঋণ ব্যবস্থাপনাকে আরও সুসংহত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি বন্ড খোলার ক্ষেত্রে নগদ মার্জিনের হার পুনর্নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে।

মোটরকার (সেডানকার, এসইউভি, এমপিভি ইত্যাদি), ইলেকট্রিক্যাল এবং ইলেকট্রনিক্স হোম অ্যাপ্লায়েন্স, স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার, মূল্যবান ধাতু ও মুক্তা, তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য, পাটজাত পণ্য, প্রসাধনী, আসবাবপত্র ও সাজসজ্জা সামগ্রী, ফল ও ফুল, নন সিরিয়াল ফুড যেমন অ-শস্য খাদ্যপণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্যদ্রব্য ও পানীয়; যেমন টিনজাত খাদ্য, চকলেট, বিস্কিট, জুস, সফট ড্রিংকস ইত্যাদি, অ্যালকোহল জাতীয় পানীয়, তামাক, তামাকজাত বা এর বিকল্প পণ্যসহ অন্যান্য বিলাসজাতীয় পণ্যের আমদানি ঋণপত্রের জন্য ১০০ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণ করতে হবে।

এসব পণ্যের জন্য আমদানি এলসি খোলার বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন আমদানিকারকদের নিজস্ব উৎস থেকে জমা করতে হবে। বিদ্যমান ঋণ হিসাব খুলে বা নতুন ঋণ হিসাব তৈরি করে আমদানি ঋণের বিপরীতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে আমদানিকারকের অনুকূলে কোনো মার্জিন প্রদান করা যাবে না।

শিশু খাদ্য ছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক স্বীকৃত প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ও যন্ত্রপাতি, চিকিৎসা সরঞ্জাম, স্থানীয় শিল্প ও রপ্তানিমুখী শিল্প, কৃষিপণ্য এবং অন্যান্য সরকারি অগ্রাধিকারমূলক প্রকল্পে আমদানি ঋণ খোলার ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন বজায় রাখতে হবে।

XS
SM
MD
LG