অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

মানবাধিকার গোষ্ঠীর অভিযোগ: তালিবান সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেটের অন্তত ১০০ সদস্যকে ‘তাৎক্ষনিক’ হত্যা করেছে


ফাইল- আফগানিস্তানের উত্তর কাবুলে ৪ঠা অক্টোবর ২০২১ সালে তালিবান বাহিনীর অভিযানে এক সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেটের গোপন আস্তানার পাশে এক তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছে।
ফাইল- আফগানিস্তানের উত্তর কাবুলে ৪ঠা অক্টোবর ২০২১ সালে তালিবান বাহিনীর অভিযানে এক সন্দেহভাজন ইসলামিক স্টেটের গোপন আস্তানার পাশে এক তালিবান যোদ্ধা পাহারা দিচ্ছে।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে তালিবান নিরাপত্তা বাহিনী ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর একটি স্থানীয় সহযোগী সংগঠনের সন্দেহভাজন কয়েক ডজন সদস্য ও সমর্থককে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করেছে।

বৈশ্বিক মানবাধিকার গোষ্ঠীটি এই নির্যাতনের ঘটনা নথিভুক্ত করে বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং তারা বলেছে যে পূর্ব নানগারহার এবং কুনার প্রদেশে ঐ ঘটনা ঘটেছে।

ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে ২০২১ সালের আগস্ট মাসেতালিবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে (আগস্ট ২০২১ থেকে এপ্রিল ২০২২ এর মধ্যে) নানগাহার ও কুনারের বাসিন্দারা ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃতদেহ খাল ও অন্যান্য স্থানে পেয়েছে।

পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী ঐ দু’টি প্রদেশ ইসলামিক স্টেটের আফগান সহযোগী সংগঠন ইসলামিক স্টেট অব খোরাসান প্রভিন্স (আইএসআইএস-কে)-এর সক্রিয় ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐ এলাকাগুলোতে তালিবান বাহিনী আইএসআইএস-কে-এর সদস্যদের আশ্রয় বা সমর্থন দেওয়ার অভিযোগে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিরুদ্ধে “অত্যাচারমূলক তল্লাশি অভিযান চালিয়ে থাকে।”

এই সব নিরাপত্তামূলক অভিযানের সময় রাতেঅতর্কিত হামলাসহ বাসিন্দাদের নির্যাতন করা হয়েছিল এবং পুরুষদের আইনী প্রক্রিয়া ছাড়াই আটক করা হয়েছিল বা পরিবারের কাছে আটককৃতদের অবস্থান প্রকাশ করা হয়নি।

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়ার সহযোগী পরিচালক প্যাট্রিসিয়া গোসম্যান বলেন, “তালিবান কর্তৃপক্ষ আটক, ‘গুমকরা’ এবং কথিত জঙ্গিদের হত্যা করার জন্য তাদের বাহিনীকে স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ দিয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মৃতদেহগুলোতে নির্যাতন ও নিষ্ঠুর ভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার প্রমাণ রয়েছে। কারো কারো হাত-পা নেই , গলায় দড়ি জড়ানো , অথবা শিরশ্ছেদ করা হয়েছে বা গলা কাটা হয়েছে।

তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ ঐ প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করে বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এসব 'গুজব' নিয়ে তদন্ত করেছে কিন্তু নানগারহার বা অন্যান্য এলাকায় তারা একটি লাশও খুঁজে পায়নি।

মুজাহিদ টুইটারে লিখেছেন, "কিছু সুপরিচিত আন্তর্জাতিক সংস্থা এই বিষয়ে যে প্রচার চালাচ্ছে তা বিরক্তিকর এবং দুর্ভাগ্যজনক,"

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, স্থানীয় এক অংশীদারের সঙ্গে কাজ করার সময় তারা ২০২১ সালের অক্টোবর থেকে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে ৬৩ জনের সাক্ষাৎকার নিয়েছে। ওয়াচডগটি দাবি করেছে যে "সন্দেহভাজন আইএসআইএস-কের সমর্থকদের তালিবান বাহিনী তাৎক্ষণিক মৃত্যুদন্ড এবং "জোর করে যে উধাও” করে দিয়েছে তার যথেষ্ট প্রমাণ তারা পেয়েছে।

XS
SM
MD
LG