যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন ব্যাংককে অবস্থান করছেন। ধারণা করা হচ্ছে থাইল্যান্ডের নেতাদের সাথে রবিবার অনুষ্ঠিতব্য বৈঠকগুলোতে মিয়ানমার উল্লেখযোগ্য আলোচনার বিষয়বস্তু হবে।
থাইল্যান্ডের উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রামুদউইনাই-এর সাথে প্রাথমিক আলোচনার পর, এই দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত জোট ও সহযোগিতার বিষয়ে এক প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন তারা। থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সরবরাহ ব্যবস্থার সহনশীলতা বৃদ্ধিতে এক সমঝোতা স্মারকেও স্বাক্ষর করা হয়।
পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ব্লিংকেন বলেন, “থাইল্যান্ডের নেতৃত্বের ফলে আমরা এই বছর প্রত্যক্ষ করেছি যে, অ্যাপেক (এপিইসি) দেশগুলো এ বছর অর্থনৈতিক নীতির উন্নয়নে একসাথে কাজ করেছে, যেই নীতিগুলো আমাদের সময়ের অস্তিত্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন, যেটি (চ্যালেঞ্জটি) হল জলবায়ু পরিবর্তন। আমাদের দেশগুলোর একটি স্বাধীন উন্মুক্ত, পরস্পর সম্পর্কিত উন্নয়নশীল, সহনশীল ও নিরাপদ ইন্দো-প্যাসিফিক-এর এক অভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে। সেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমরা আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত জোরালো এবং এখন কোভিড থেকে বেরিয়ে আসার সময়ও তা একই রকম রয়েছে। এই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়ে উঠবে।”
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড্যানিয়েল ক্রিটেনব্রিংক বলেন যে, খুব সম্ভবত মিয়ানমার সংকট তাদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে। তিনি আরও বলেন, “সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকে বার্মার সামরিক শাসকগোষ্ঠীর নির্মম কর্মকাণ্ডগুলো, প্রায় ২,০০০ মানুষকে হত্যা ও অপর আরও ৭,০০,০০০ এরও বেশি মানুষকে স্থানচ্যুত করার ঘটনার প্রতি সম্ভাব্য কঠোরতম ভাষায় নিন্দা জানানো যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহত রাখবে।” মিয়ানমার বার্মা নামেও পরিচিত।
প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুত চ্যান-ওচা-র সাথেও সাক্ষাৎ করবেন ব্লিংকেন। স্বাস্থ্য ও জলবায়ু বিষয়ে সহযোগিতা বৃদ্ধিও আলোচনার বিষয়বস্তুর মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও আগামী বছরের এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশন-এর বার্ষিক বৈঠকও আলোচনার বিষয়বস্তুর অন্তর্ভুক্ত বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রক জানায়। যুক্তরাষ্ট্র ঐ বৈঠকটি আয়োজন করবে।