অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

চীন-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠক ধীরে ধীরে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ক ঠিক করতে পারে


যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন (ডানে) এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রিসোর্ট দ্বীপ বালিতে একটি বৈঠকে যোগ দেন। ৯ জুলাই, ২০২২।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন (ডানে) এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই শনিবার ইন্দোনেশিয়ার রিসোর্ট দ্বীপ বালিতে একটি বৈঠকে যোগ দেন। ৯ জুলাই, ২০২২।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই-র মধ্যকার ৫ ঘণ্টার বৈঠক ধীরে ধীরে সম্পর্কের উন্নতির মঞ্চ তৈরি করেছে, যদিও তাৎক্ষণিক অগ্রগতি আশা করা যাচ্ছে না। সোমবার বিশ্লেষকরা ভয়েস অফ আমেরিকাকে এ কথা জানান।

ওয়াং এবং ব্লিংকেন শনিবার ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ আলোচনায় মিলিত হন। ব্লিংকেন মে মাসে প্রথম চীনের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কৌশল প্রচার করার পরে এই প্রথম ওয়াং-এর সাথে মুখোমুখি ব্যক্তিগত আলোচনায় বসেন।

গত ৫ বছরে ২ পরাশক্তিকে সমস্যায় ফেলেছে এমন বিষয়গুলোর একটি তালিকা নিয়ে তারা মতবিনিময় করেছেন।

ব্লিংকেন এবং ওয়াং মতানৈক্যের মূল বিষয়গুলোতে একে অপরকে চাপ প্রয়োগ করেছেন, ব্লিংকেন উদ্বেগ প্রকাশ করেন যে, ইউক্রেনের যুদ্ধে চীন রাশিয়ার সাথে জোট করেছে এবং ওয়াং যুক্তরাষ্ট্রকে তাইওয়ানের বিষয়ে “বড় ভুল” না করার আহ্বান জানান। তাইওয়ান একটি স্ব-শাসিত দ্বীপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অনানুষ্ঠানিক মিত্র। দ্বীপটিকে বেইজিং নিজেদের বলে দাবি করে।

বাণিজ্য, বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগরে চীনা সামরিক তৎপরতা এবং চীনে মানবাধিকার সমস্যা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের ধারণার মতো বিষয়গুলো প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সময় থেকে দেশ দুটির মধ্যকার সম্পর্ককে শীতল করে রেখেছে।

শনিবার এই জুটি কোনো চুক্তিতে পৌঁছায়নি, তবে তাদের বৈঠক দেশ দুটির সম্পর্কের পরবর্তী পর্যায়ে উষ্ণতা নিয়ে আসতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন। এখন দুই দেশের সরকার জুলাইয়ের শেষ দিকে তাদের নেতাদের মধ্যে ভার্চুয়াল বৈঠকের পরিকল্পনা করছে বলে ভয়েস অফ আমেরিকা সোমবার জানিয়েছে।

হাওয়াইয়ের ইস্ট-ওয়েস্ট সেন্টারের ভাইস প্রেসিডেন্ট সাতু লিমায়ে বলেছেন, পরবর্তী পদক্ষেপটি তৃতীয় পক্ষ থেকে আসতে পারে।

XS
SM
MD
LG