ফেনীতে মায়ের সামনে মেয়েকে ধর্ষণ: ১৯ বছর পর মামলার রায়, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশের ফেনী জেলার সোনাগাজীতে একটি ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার রায় হয়েছে ১৯ বছর পর। এ মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) দুপরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ওসমান হায়দার এই রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন; সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের ফকির আহমদের ছেলে আবুল কাশেম, আবদুর রশিদের ছেলে মো. লাতু ও আবুল কালামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় একই এলাকার রসুল আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ ফারুককে মামলা থেকে খালাস দেয়া হয়।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) ফরিদ আহমদ হাজারী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ফরিদ আহমদ হাজারী বলেন, “মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।দণ্ডিত সবাই পলাতক; রায় ঘোষণার সময় শুধু খালাস পাওয়া ফারুক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।”

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ২০০৩ সালের ১৩ মে রাতে মা-মেয়েকে তুলে নিয়ে যান আবুল কাশেম, লাতু, জাহাঙ্গীর আলম ও মোহাম্মদ ফারুক। পরে মাকে বেঁধে রেখে, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করেন দণ্ডিতরা।

এ ঘটনার পরের দিন মেয়ের মা বাদী হয়ে সোনাগাজী থানায় মামলা করেন। ৯ জনের সাক্ষ্য শেষে, আদালত এই রায় দেন।

আইনজীবী ফরিদ আহমদ বলেন, “রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিতরা আদালতে অনুপস্থিত থাকায়, তাদের গ্রেপ্তার হওয়ার দিন থেকে এ রায় কার্যকর হবে বলে আদেশে জানানো হয়েছে।”