অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড: যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত একজন বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার


বাংলাদেশের আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলায়, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আলাউদ্দিনকে (৩৫) বগুড়া থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৫ জুলাই) ভোররাতে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ মোকামতলা বন্দরের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার আলাউদ্দিন পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী থানার ছোট ধাপ গ্রামের হবিবুর রহমানের ছেলে। ২০১২ সালে আলোচিত বিশ্বজিৎ দাস (২২) হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঈদুল আযহা উদযাপন করতে, স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে আসেন আলাউদ্দিন। শুক্রবার রাতেই, বর্তমান কর্মস্থল কক্সবাজারের টেকনাফে চলে যাওয়ার কথা ছিল তার।

বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলী হায়দার চৌধুরী জানান, “শুক্রবার ভোর রাতে মোকামতলা বন্দরের বাসিন্দা, শ্বশুর কাজী নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় আলাউদ্দিনকে।”

উল্লেখ্য, আলাউদ্দিন ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) লেখাপড়া করতেন এবং তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১২ সালে আলাউদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। ঐ বছরের ৯ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের ডাকা হরতালের সময়, বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন দর্জি দোকানের কর্মচারী বিশ্বজিৎ দাস। কোন কারণ ছাড়াই জগন্নাথ বিশ্বিবদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে বিশ্বজিৎকে। এই হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বজিৎ-এর ভাই উত্তম দাস ঢাকার সুত্রাপুর থানায় মামলা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করলে, ২০১৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক রায় ঘোষণা করেন। রায়ে, অভিযুক্ত ২১ জনের মধ্যে আট জনের মৃত্যুদণ্ড এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন বিচারক।

দণ্ডিত ২১ জনের মধ্যে আট জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় এবং অপর ১৩ জন ঘটনার পর থেকেই পলাতক। পরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের পক্ষে আপিল করা হলে, হাইকোর্ট দুজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখেন এবং চারজনের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং দুই জনকে খালাস প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পলাতকদের মধ্যে আলাউদ্দিন একজন। মামলার এজাহারে আলাউদ্দিন ৪ নম্বর অভিযুক্ত ছিলেন।

XS
SM
MD
LG