অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

থাই রাজনীতিতে নতুন শক্তি হিসাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কন্যার আবির্ভাব


অপসারিত থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা, যিনি ২০০৬ সালের একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন, ১০ ই জুলাই, ২০০৮ সালে ব্যাংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চলাকালীন সময়ে তার মেয়ে প্যাতংটার্ন-এর সাথে পোজ দিয়েছেন।
অপসারিত থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা, যিনি ২০০৬ সালের একটি রক্তপাতহীন অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছিলেন, ১০ ই জুলাই, ২০০৮ সালে ব্যাংককের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক চলাকালীন সময়ে তার মেয়ে প্যাতংটার্ন-এর সাথে পোজ দিয়েছেন।

সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিনের কন্যা প্যাতংটার্ন সিনাওয়াত্রার রাজনীতিতে পদার্পণ এবং পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে আবির্ভূত হওয়ায় থাইল্যান্ডে রাজনৈতিক বিভাজনের সম্ভাবনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

গত অক্টোবর মাসে প্যাতংটার্নকে দেশের বৃহত্তম এবং প্রধান বিরোধী দল ফেউ থাই পার্টির অন্তর্ভুক্তি এবং উদ্ভাবন উপদেষ্টা কমিটির প্রধান হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। দলটির কার্যত প্রধান হিসেবে আছেন থাকসিন। এই নিয়োগের পরপরই সামনের বছর অনুষ্ঠেয় পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে দলের হয়ে প্রধানমন্ত্রী পদে তার লড়ার বিষয়টি আলোচনায় ঊঠে এসেছে। যদিও এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী প্রয়ুত চান-ওচা পুনর্নির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

থাই নেতা চোনলানান শ্রীকেউ ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন, দলটি এই মুহূর্তে কেবল তার জনপ্রিয়তা পরীক্ষা করছে।

চুলালংকর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ সিকিউরিটি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের অধ্যাপক এবং পরিচালক থিটিনান পংসুধিরক ভয়েস অফ আমেরিকাকে বলেন যে, ফেউ থাই কেবল জল পরীক্ষা করছে, তবে যাই হোক না কেন, প্যাতংটার্নকে এখন দলের প্রতীকী নেতা হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

থিটিনান বলেন, "এখন পর্যন্ত, সে যোগ্যতর"।

থাকসিনের বিরোধীরা প্যাতংটার্নকে মনোনীত করার কারণ হিসেবে থাকসিনের জেলে না গিয়ে আবার থাইল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার উপায় বলেই ভাবছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৬ সালের অভ্যুত্থানের পর থাকসিন দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তার বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতিগ্রস্ত জমি চুক্তি, রাষ্ট্রের ফোন ছাড়ের অবৈধ শেয়ার রাখা এবং একটি মানহানির অভিযোগ রয়েছে, যা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ছিল।

XS
SM
MD
LG