বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যে কোনো ধরনের যুদ্ধের নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, “এটা সর্বদাই জনগণের দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।”
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ সফররত ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল মনোজ পান্ডে, গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সাক্ষাৎ শেষে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ তথ্য জানান।
ইহসানুল করিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যুক্তরাষ্ট্র সরকারও আমেরিকান জনগণকে বার্তা পাঠিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয় করতে বলছে। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ সবাই দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছে।”
জেনারেল মনোজ পান্ডের সাক্ষাৎকালে, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারত সরকার, সশস্ত্র বাহিনী ও ভারতের জনগণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের জীবন দিয়েছেন এবং যারা আহত হয়েছেন তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আসাম, মেঘালয় ও অরুণাচলের সাম্প্রতিক আকস্মিক বন্যার কারণে এটি ঘটেছে।
“বাংলাদেশ যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ভারতের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে;” উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ককে চমৎকার বলে উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত দারিদ্র্যের অবসান এবং এ অঞ্চলের দারিদ্র দূরীকরণে একসঙ্গে কাজ করা।”
ভারতের সেনাপ্রধান দুই দেশের মধ্যে চলমান সামরিক সহযোগিতা নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানান প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। জেনারেল মনোজ পান্ডে ২০ জুলাই কক্সবাজারের রামু সেনানিবাসে যাবেন বলে জানান তিনি।
মনোজ পান্ডে বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করে আমি গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি। এই জাদুঘরটি ত্যাগের প্রতীক হিসেবে রয়ে গেছে এবং এটি নতুন প্রজন্মকে তাদের দেশকে ভালবাসতে অনুপ্রাণিত করবে।”
জেনারেল পান্ডে বলেন, “দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়মিত শীর্ষ পর্যায়ের সফর সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে।”
