যুক্তরাষ্ট্র ত্রাণ প্রধান পূর্ব আফ্রিকায় খাদ্য সংকট এড়াতে অন্যান্য দেশগুলোকে আরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন । তিনি যথেষ্ঠ সাহায্য করছে না বলে চীনের দিকে অভিযোগ তুলেছেন।
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার প্রধান সামান্থা পাওয়ার বলেন, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন হর্ন অব আফ্রিকার (ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, জিবুতি এবং সোমালিয়া নিয়ে গঠিত) খাদ্য সংকটকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে এবং দেশগুলোকে অবশ্যই সেখানে দুর্ভিক্ষ এড়াতে তাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ-এ সোমবার এক বিবৃতিতে পাওয়ার বলেন, পূর্ব আফ্রিকায় মানবিক প্রচেষ্টায় চীন 'বিশেষ করে তার অনুপস্থিতিই প্রকাশ করছে’।
তিনি আরও বলেন, চীন যদি বিশ্ব বাজারে বা বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচীতে আরও বেশি খাদ্য ও সার রপ্তানি করে, তবে এটি "খাদ্য ও সারের দামের উপর চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস করবে এবং বিশ্বের স্বল্পোন্নত অর্থনীতির একটি বৈশ্বিক নেতা এবং বন্ধু হওয়ার জন্য দেশটির আকাঙ্ক্ষাকেই প্রদর্শন করবে।“
চীন তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়ারের মন্তব্যের কোনো জবাব দেয়নি।
যে সব দেশ ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং বিশ্ব খাদ্য বাজারে এর প্রভাবের নিন্দা জানাতে অস্বীকার করেছে, তাদেরও সমালোচনা করে পাওয়ার বলেন, 'যেসব দেশ এই যুদ্ধ থেকে সরে এসেছে, তারা যেন এই বৈশ্বিক খাদ্য সংকট থেকেও সরে না আসে।‘
পাওয়ার পাম তেলের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করে বলেন, এই ধরনের পদক্ষেপ অন্যান্য দেশেরও অনুসরণ করা উচিত।
ইউক্রেন ঐতিহ্যগতভাবে গমের একটি নেতৃস্থানীয় বিশ্বব্যাপী রপ্তানিকারক হওয়ায় যুদ্ধে বিশ্বে খাবারের দাম বৃদ্ধির মত একটি বড় প্রভাব পড়েছে।
পাওয়ার জানিয়েছেন, হর্ন অব আফ্রিকায় সম্প্রতি কমপক্ষে ১,১০৩ জন শিশু অনাহারে মারা গেছে এবং এই অঞ্চলের আরও ৭০ লাখ শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
যুক্তরাষ্ট্র হর্ন অফ আফ্রিকায় ১.১৮ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে বলে পাওয়ার জানিয়েছেন। তিনি সপ্তাহের শেষে এই অঞ্চল সফর করবেন বলে জানা গেছে।
প্রতিবেদনের কিছু তথ্য এএফপি থেকে নেয়া ।