অ্যাকসেসিবিলিটি লিংক

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং করতে হচ্ছে বিতরণ সংস্থাগুলোকে


উৎপাদন সংস্থা থেকে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায়,বাংলাদেশের অধিকাংশ বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি লোডশেডিং করছে।

বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার কর্মকর্তারা জানান, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা তাদের এলাকায় লোডশেডিংয়ের সময়সূচি আগে থেকেই প্রকাশ করে আসছেন। সরবরাহ কম থাকায়, সময়সূচি অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা।

ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি) প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াটের সর্বোচ্চ চাহিদা মেটাতে, ১১৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করার পরিকল্পনা করেছিল।

ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান বলেন, “আমাদের পরিকল্পিত ১১৫ মেগাওয়াটের পরিবর্তে, বৃহস্পতিবার(২১ জুলাই) ১৩৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করতে হয়েছে। উৎপাদন সংস্থা থেকে কম সরবরাহ পাওয়ায় লোডশেডিংয়ের পরিমাণ বাড়াতে হয়েছে।”

বিকাশ দেওয়ান বলেন, “সাধারণত গ্রীষ্মকালে ডিপিডিসির আওতাধীন অঞ্চলে ১৫০০ থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ব্যবহার হয়। কম তাপপ্রবাহের সঙ্গে, আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে অনুকূল থাকলে চাহিদা কিছুটা কমে।”

ঢাকা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিম, দক্ষিণ-পূর্ব, মধ্যাঞ্চল এবং নারায়ণগঞ্জের একটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ডিপিডিসি।

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেডের (ডেসকো) আওতাধীন এলাকায় পরিস্থিতি তুলনামূলক খারাপ। কারণ পরিকল্পনার চেয়ে দ্বিগুণ লোডশেডিং করতে হচ্ছে সংস্থাটিকে।

ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাউসার আমীর আলী বলেন, “বৃহস্পতিবার(২১ জুলাই) মাত্র ৮০ মেগাওয়াট লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ডেসকোকে ১৮০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়েছে। ডেসকোর গ্রাহক প্রধানত আবাসিক ও বাণিজ্যিক হওয়ায় সংস্থাটিকে দিনের বেলায় সর্বোচ্চ লোড সরবরাহ করতে হয়।”

ডেসকো ঢাকা শহরের উত্তর, উত্তর-পশ্চিম, উত্তর-পূর্ব অংশ এবং গাজীপুরের টঙ্গী এলাকার একটি অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে।

বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড (বিপিডিবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডব্লিউজেডপিডিসি ও নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো) সহ অন্যান্য বিতরণ সংস্থার গ্রাহকরা বিদ্যুৎ সরবরাহে অনেকটা একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছেন। ঐ প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সময়সূচির বাইরে লোডশেডিং করতে হচ্ছে।

বিপিডিবির তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১৪ হাজার ২০০ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে ১২ হাজার ৫৭০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ঘাটতি থাকে ১৬৩০ মেগাওয়াট। চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ব্যবধান মেটাতে, বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) ১৩৬৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল।

এদিকে, বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে বিদ্যুৎ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও বিতরণ সংস্থার একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকে লোডশেডিংয়ের সময়সূচি তাদের গ্রাহকদের জানাতে বলা হয়েছে।

XS
SM
MD
LG