ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার তার সরকারের দাবিগুলো জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে তুলে ধরেন যেখানে তিনি ইরাকি ভূখন্ড থেকে তুর্কি বাহিনী প্রত্যাহারের দাবি জানান। একটি অবকাশযাপন রিসোর্টে মারাত্মক হামলার ঘটনায় বাগদাদ তুর্কি বাহিনীকে দোষারোপ করছে।
"আমরা ইরাকি ভূখণ্ডে তুর্কি সামরিক বাহিনীর অবৈধ উপস্থিতির নিন্দা জানাই," পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুয়াদ হুসেন কাউন্সিলের সদস্যদের বলেন।
কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে যোগ দিতে নিউ ইয়র্কে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ২০ জুলাই দোহুকের কুর্দি গভর্নরেটের একটি রিসোর্টে হামলা চালানো হয়, যাতে তিন শিশুসহ নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়।
বাগদাদ আঙ্কারাকে দোষারোপ করে ক্ষতিপূরণ ও আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলের সঙ্গে সীমান্তে এ হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছে তুরস্ক। আঙ্কারা বলছে, কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি বা পিকেকে'র জঙ্গিরা এই হামলা চালিয়েছে।
পিকেকে-র সামরিক শাখা এই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে এবং তুরস্ককে পাল্টা দোষারোপ করেছে।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, হামলার তদন্তের জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আঙ্কারা কয়েক দশক ধরে দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর ইরাকে পিকেকে-র বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। ১৯৮৪ সালে কুর্দি বিচ্ছিন্নতাবাদীরা অস্ত্র হাতে তুলে নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ এই সংঘাতে নিহত হয়েছে।
তুরস্কের দূত বলেন, সমস্যাটির একটি অংশ হচ্ছে ইরাক সরকারের তাদের সব ভূখণ্ডের উপর পরিপুর্ন নিয়ন্ত্রণ নেই এবং উত্তরাঞ্চলের শত শত গ্রামে সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল গড়ে উঠেছে।
"আত্মরক্ষার অধিকার চর্চা করায় আপনি আপনার প্রতিবেশীকে দোষারোপ করতে পারেন না," তিনি উপসংহারে বলেন।
বৈঠক শেষ হওয়ার পর কেসেলী জানান, তিনি মাত্রই খবর পেয়েছেন যে, ইরাকের উত্তরাঞ্চলীয় শহর মসুলে তুর্কি কনস্যুলেটের কাছে চারটি মর্টার হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিক খবরে কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে।
ইরাকের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কী ঘটেছে তা তিনি যাচাই করবেন।
কাউন্সিল এই হামলার তদন্তে ইরাকি সরকার এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে ইরাকের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি তাদের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে।